বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মহুয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই করোনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। কেন্দ্র শোনেনি। ২০২১সালের ভোটকে সামনে রেখে শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা তাতে কান দিইনি। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে, সেটা রেশন দেওয়া থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা সহ সবক্ষেত্রেই।
প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা খোলা চিঠিতে রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন মহুয়া বলেন, বিদেশি ডাক্তার, আন্তর্জাতিক ডাক্তাররা, চাঁদ থেকে মানুষ এসে বলল পশ্চিমবঙ্গ কিচ্ছু করতে পারছে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব অনেক বেশি হলেও কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেক রাজ্যের থেকে আমরা ভালোভাবে কাজ করছি। পজিটিভ কেসের হার (নমুনা টেস্ট অনুযায়ী) এ রাজ্যে ২.৭০ শতাংশ। জাতীয় গড় ৪.৮৭শতাংশ। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে পজিটিভ কেসের হার অনেক বেশি।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা না করে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন করা হয়। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে গিয়েছিলেন। যখন ৫০০ কেস ছিল তখন কাউকে রাজ্যে ফেরানো হয়নি। যখন কেস দু’লক্ষ তখন ট্রেন চালু করা হল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব রাখার কোনও সুযোগও নেই। ট্রেনে ফেরা মানুষজন সুস্থ থাকলেও পরিকল্পনার অভাবে তাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিন মহুয়াদেবী হোম কোয়ারেন্টাইন আদতে যে সম্ভব নয় সে কথা কার্যত স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকায় এটা করা খুব কঠিন। আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি বাইরে থেকে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকেন। এদিন কৃষ্ণনগর জেলা সভানেত্রীর সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসিরুদ্দিন আহমেদ।