পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর শহরের এক যুবতী, হলদিয়ার তিনজন, দাঁতন-২ব্লকের একজন, এগরার একজন, ঘাটালের একজন, পটাশপুরের একজন, ভগবানপুর থানা এলাকার দু’জন, নন্দকুমার থানা এলাকার একজন, মহিষাদলের দু’জন, কেশপুরের একজন, তমলুক থানা এলাকার একজন এবং ময়নার দু’জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার তথা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিএমওএইচ দেবপম হাজরা বলেন, সুস্থ হয়ে যাঁরা বাড়ি যাচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেককে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। তারমধ্যে এগরা-১ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মলিদা গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। দিনকয়েক আগে ২৫বছর বয়সি ওই পরিযায়ী শ্রমিক হায়দরাবাদ থেকে ফিরে আসেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অন্যদিকে, ভগবানপুর-১ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটগেছিয়া গ্রামের ২৩বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক এবং মহম্মদপুর-১গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমবাড় গ্রামের ৬০বছর বয়সি আর এক পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গত ২৭মে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২৭মে পর্যন্ত ওই হাসপাতালে ৬৭জনের রিপোর্ট নেওয়া হয়েছিল। বুধবার মাত্র ১১জনের রিপোর্ট এসেছে। তারমধ্যে দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট। এদিন ওই হাসপাতালে আরও ৮২জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। ভগবানপুর-১ব্লকের বিএমওএইচ মৌটুসি সিংহ বলেন, বুধবার দু’জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার প্রায় পাঁচশো জনের নমুনা সংগ্রহের পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ল্যাবে পড়ে রয়েছে। সেইসব নমুনার রিপোর্ট আসার পর ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হবে বলে ডেপুটি সিএমওএইচ-২সমুদ্র সেনগুপ্ত জানিয়েছেন।
এদিকে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি সহ পাঁচ রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা রাজ্য সরকার বাধ্যতামূলক করলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অনেক শ্রমিক তা মানছেন না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। হলদিয়া পুরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের ডিঘাসীপুরের করোনা আক্রান্ত এক পরিযায়ী শ্রমিক মঙ্গলবারই বড়মা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেও হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনা হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার ও নার্সদেরও চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। আটদিনের রোটেশনে স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। একটানা আটদিন ডিউটি করার পর সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের সরিয়ে অন্যদের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। ভয়কে জয় করেই ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা একযোগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তারই সুফল হিসেবে গত ১১এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।