বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তবে, বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরেই সংক্রমণ মিলেছে। তাই উদ্বেগও বেড়েছে প্রশাসনের। সেইজন্য জেলায় সংক্রামিত এলাকাগুলিকে আলাদা করে কন্টেইনমেন্ট এরিয়া চিহ্নিত করে তা সিল করা হয়েছে। যাতে ওই এলাকার মধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে তা নজরে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য কেন্দ্র সরকারের তরফে লকডাউন পাঁচকে আনলক-১ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেইজন্য শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চলবে। বাকি এলাকা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে। তাই যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণের অস্তিত্ব মিলেছে সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এরজন্য জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিকে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। জেলায় চিহ্নিত হওয়া কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে রামপুরহাট মহকুমা এলাকায়। রামপুরহাট-১, ময়ূরেশ্বর-১, ২, নলহাটি-১, ২, মুরারই-১, ২ প্রভৃতি ব্লক এলাকাগুলি রয়েছে। তবে, সিউড়ি সদর মহকুমার মধ্যেও সাঁইথিয়া, সিউড়ি-১ প্রভৃতি ব্লক রয়েছে। এমনকী, বোলপুর মহকুমার অধীনে থাকা নানুর, ইলামবাজার, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকও রয়েছে। জেলার তিন মহকুমাতেই বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে। যেসব গ্রামে করোনার হদিশ মিলেছে তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিকে শ্যাডো জোন হিসেবে ধরা হয়েছে। সেখানেও একইভাবে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কন্টেইনমেন্ট জোনে সর্বক্ষণের জন্য যে কোনও পরিষেবা প্রদানে মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ওই গ্রামকে অন্য গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। সেইজন্য এলাকার বাসিন্দাদের যে কোনও প্রয়োজনে পরিষেবা দিচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তাছাড়া নজরদারির জন্য পুলিস রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে এবার কারও মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন আশাকর্মীরা। সাধারণত, জেলায় এখনও পর্যন্ত যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। তার ফলে রিপোর্ট আসার পর তাঁদের কয়েকদিন কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড কেটে গেলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য কাউকে কোভিড হাসপাতালেও ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু, এবার উসপর্গহীনদের আর টেস্ট করাই হবে না। তাই কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে উপসর্গ রয়েছে এমন বাসিন্দাদের খুঁজে বের করার কাজ করবেন আশাকর্মীরা। বাসিন্দাদের কারও শরীরে উপসর্গ থাকলে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল বলেন, যেসব এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা পরিষেবা দিচ্ছেন। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির জন্য পুলিস আয়োজন করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব এলাকা থেকে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেগুলিকেই কন্টেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে। ওই গ্রামে রেশন দোকান থাকলে খাদ্যসামগ্রী হোম ডেলিভারি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। পরে ১৪দিনের মধ্যে নতুন পজিটিভ কেস না এলে সেই পাড়াকে কন্টেইনমেন্ট মুক্ত করা হবে।