গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উম-পুনের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে গত ২৬মে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই জেলায় এসেছিলেন। জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দিকে তিনি জোর দিতে বলেন। ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে তাঁদের যুক্ত করার কথাও মন্ত্রী বলেছিলেন। ২৭মে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের ১০০ দিনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের যুক্ত করার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ব্লকে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করতে চান, তাঁদের জবকার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলায় কয়েক হাজার আবেদনও জমা পড়েছে।
এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতার বিষয়টিও নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এজন্য যে ফর্ম তৈরি হয়েছে, সেখানে শ্রমিকের নাম, মোবাইল নম্বরের সঙ্গে তিনি কোন কাজে দক্ষ, তা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। কতদিন ধরে তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই রাজ্যে তিনি থেকে যেতে চান, নাকি ভিনরাজ্যে ফিরে যেতে চান, তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে। জেলার দাঁতন নাকা পয়েন্ট ছাড়াও খড়্গপুর এবং হিজলি স্টেশনে ট্রেনে করে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক আসছেন। তাঁদের কাছে থেকেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে।
উৎকর্ষ বাংলার নোডাল অফিসার সিদ্ধার্থ গুঁইন বলেন, এই জেলার হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জরি, সোনা সহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন কারখানায় এক্সপোর্ট কোয়ালিটির
জিনিস তৈরি করতেন। আমরা চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের
ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেব। তাঁরা নিজের জেলায় থেকেই একই কাজ করতে পারলে অনেকেই আর বাইরে যেতে চাইবেন না। পাশাপাশি তাঁরা যদি কোনও বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চান, সেব্যাপারেও আমরা সহযোগিতা করব।
ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক চন্দন বসু বলেন, দক্ষ শ্রমিকদের উপযুক্ত কাজ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, তাঁরা চাষের কাজ বা ১০০ দিনের কাজ করতে পারবে না। দক্ষতা অনুযায়ী তাঁদের কর্মসংস্থান করতে পারলে আমরাই উপকৃত হব। ক্লাস্টার তৈরি করার জন্য জমি সহ নানা ধরনের সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে বহু উদ্যোগপতি এগিয়ে আসবেন।