পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ যুক্ত রয়েছেন। আগে চাহিদা বেশি থাকায় জোগান দিতে রাতদিন কাঁসা-পিতলের বাসন তৈরির শব্দ শোনা যেত এখানে। এখন তেমন ব্যবসা না হলেও লকডাউনের আগে এখানে কাঁসা-পিতলের বাসন তৈরি হতো। লকডাউনের ফলে তা পুরোপুরি বন্ধ। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগররা বলেন, অনেক কষ্ট করে এই শিল্পকে আমরা বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। লকডাউনের জন্য তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা বলেন, লকডাউনের জেরে কাঁচামাল জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘরে যা কাঁচামাল ছিল তা দিয়ে যা জিনিস তৈরি করা হয়েছে তা বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। মালিকরা সেই জিনিসপত্র বিক্রি করতে না পারার ফলে আমাদের টাকা দিতে পারছেন না। লকডাউনের প্রথম দিকে মালিক টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালিয়েছেন। এখন মালিকের পক্ষেও সম্ভব হচ্ছে না। কারিগর সমর হালদার বলেন, আমরা খুব অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। কতদিনে সবকিছু স্বাভাবিক হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
ব্যবসায়ী দীপঙ্কর দত্ত ও তরুণ বর্মন বলেন, এই ব্যবসার উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার পরিবার যুক্ত। লকডাউনের ফলে ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। আমরা অনেক কষ্ট করে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, আর পারছি না। এই কুটিরশিল্প বাঁচানোর জন্য রাজ্য সরকার যদি কিছু সাহায্য করে তবে তা আগের মতো চলবে। না হলে এরপর আমাদের এই ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসা বা বিকল্প কাজের খোঁজ করতে হবে।