কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আরামবাগের এসডিও নৃপেন্দ্র সিং বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে বহু মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। কিন্তু, ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই রোগে মৃত্যুর হার খুবই সামান্য। আরামবাগ মহকুমার করোনা আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই ইতিমধ্যে পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে করোনা আক্রান্ত হলে কী হয়, এর চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন এবং পরবর্তী সময়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে, এরকম নানা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ভাইরাসকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের নিয়েই এবার করোনা সচেতনতা প্রচার করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার সদস্যের ওই টিম বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে গিয়ে করোনা মোকাবিলার বার্তা দেবে। একাজে প্রশাসনকে সাহায্য করবে স্বাস্থ্যদপ্তরও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খানাকুলের ২৬ জন করোনা জয়ীর সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা করেছে। প্রশাসনের এই প্রস্তাবে খুশি করোনা জয়ীরাও। তাঁদের অনেকের দাবি, করোনা ভাইরাস নিয়ে গ্রামের দিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় অশান্তি, গণ্ডগোল হচ্ছে। কিন্তু, আদতে করোনাকে হার মানানো কঠিন কিছু নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললেই, দ্রুত আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে আবারও স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করতে পারবেন।
কর্মসূচি সম্পর্কে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার সদস্যের ওই টিম একটি গাড়ি করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে। এরপর কোনও ক্লাব বা ফাঁকা এলাকায় গাছের নীচে টেবিল চেয়ার নিয়ে বসবেন টিমের সদস্যরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই টেবিলের উল্টো দিকে থাকবেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাঁরা নিজেদের প্রশ্ন সরাসরি ছুঁড়ে দেবেন করোনা জয়ীদের উদ্দেশে। এরপর করোনা জয়ীরা সাধারণ মানুষের প্রশ্নের সোজা-সাপ্টা উত্তর দেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণের তরফে যে সকল প্রশ্ন উঠে আসতে পারে, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, আপনি কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন, আপনার শারীরিক কষ্ট কেমন হয়েছিল, কীভাবে জানলেন, আপনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও আক্রান্ত হওয়ার পর আপনার পরিবারের সদস্যদের অবস্থা কেমন ছিল, চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক কেমন ছিল, সুস্থ হয়ে উঠতে কত দিন সময় লেগেছে, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর বর্তমানে শারীরিক পরিস্থিতি কেমন রয়েছে ইত্যাদি প্রশ্ন উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার আরামবাগে করোনা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন স্বাস্থ্যদপ্তরের অন্যতম সচিব সৌমিত্র মোহন। মহকুমা প্রশাসনের তরফে করোনা জয়ীদের দিয়ে সচেতনতা অভিযানের বিষয়টি স্বাস্থ্য সচিবের সামনে তুলে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, তিনিও এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। যে কারণে দ্রুত এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার তোড়জোড় শুরু করেছে মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা।