কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, বাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মৃতের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো রহস্যটি উন্মোচন করার চেষ্টা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রবল বৃষ্টির সময়েই নিজের বাড়ি থেকে আর্তনাদ শোনা যায় ভূপেন্দ্র সিংয়ের। আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন বাড়ির মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার ১২বছরের পুত্র শরণদীপ সিং। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিস। মৃতের বাবা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে জানান, ছেলে হালুয়া খেতে চেয়েছিল এবং সামোসা আনতে বলেছিল। সেই কারণে আমি চিত্রা মোড়ে সামোসা, চিনি ও সুজি আনতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময়ে বাইরের গেটে তালা দিয়ে গিয়েছিলাম। তালা খুলে ঘরে ঢুকে প্রথমে ডাকলে ছেলে সাড়া দেয়নি। পরে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে পড়ে রয়েছে। বাইরের জানালা দিয়ে এসে কেউ এই কাজ করেছে।
খুব কাছ থেকে গুলি করার চিহ্ন থাকায় পুলিস বাবার দাবি না মেনে সরেজমিনে তদন্তে নামে। বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েই পুলিসের চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড় হয়। ঘরের মধ্যে অনটনের চিত্র পরিষ্কার হলেও সেখান থেকেই উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শটার ও একটি পিস্তল। এরপরেই পুলিস মৃতের বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বুধবার পুলিস তাকে গ্রেপ্তারও করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনাটি পরিষ্কার হতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিস এই ঘটনায় কোনও তৃতীয় ব্যক্তির জড়িত থাকার সূত্র পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২সালে মাত্র তিন বছরের পুত্রসন্তানকে রেখে মারা যান ভূপেন্দ্র সিংয়ের স্ত্রী। তারপর থেকে ছেলেকে কাছ ছাড়া করেনি বাবা। সবসময়ে নিজের সঙ্গে নিয়েই ঘুরত। এমনকী পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সেভাবে ছেলেকে মিশতে দিত না। আত্মীয়দের সঙ্গেও খুব বেশি নিবিড় সম্পর্ক ছিল না। এই অবস্থায় অনেকটা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল তারা। ভূপেন্দ্র কিছুদিন আগেও জমির দালালি করে রোজগার করত। এমনকী বাড়ি ভাড়া ঠিক করে দিয়েও কমিশন পেত। তাই ব্যবসায়িক কারণে কোনও শত্রুতা থাকলেও বাবাকে ছেড়ে ছেলেকে কেন গুলি করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজের আত্মরক্ষার্থে নাকি কাউকে খুন করার জন্য রেখেছিল ধৃত, তা নিয়ে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতের ভাই মনিন্দর সিং বলেন, ওদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না।