পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা প্রত্যেক পর্যটকের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সোনাঝুরির খোয়াইয়ের হাট। মূলত বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের সম্ভার ও বাড়িতে বানানো নানান গ্রামীণ খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায় রূপপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই হাটে। সোনাঝুরি গাছের ছায়ার মধ্যে এই হাট প্রধানত শনিবার বসে। বিশেষ করে শনিবার উপলক্ষেই শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান কয়েক হাজার পর্যটক। এছাড়াও বোলপুর, শান্তিনিকেতন সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষও আলাদা ধরনের এই হাটের আনন্দ উপভোগ করেন। শনিবার এই হাটের প্রধান দিন হলেও সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। তবে, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই হাট কমিটির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে বন্ধ হয়েছে শান্তিনিকেতনের এই অন্যতম আকর্ষণ। লকডাউন শুরুর প্রায় দু’সপ্তাহ আগে থেকেই অর্থাৎ প্রায় তিনমাস ধরে বন্ধ সোনাঝুরির হাট। তার ফলে হস্তশিল্প ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখে পড়লেও বন্ধ রেখেছেন তাঁদের ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলার পর এখন আনলক পিরিয়ড শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে দোকানপাট, বাজার, শপিংমল ও অন্যান্য অনেক কিছু খুলে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু, নির্দেশ থাকলেও হাট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছে, এখনই খুলছে না শান্তিনিকেতনে শনিবারের অন্যতম আকর্ষণ। কারণ হিসেবে কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, সোনাঝুরির হাটে ভিড় জমান দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। কেনাকাটাও করেন তাঁরা। সেই তুলনায় বোলপুর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। যেহেতু ভাইরাস ও লকডাউনের জোড়া প্রকোপে বাইরের পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসতে পারবেন না, তাই হাট চালু হলেও তাঁদের বিকিকিনি প্রায় হবে না বললেই চলে। তাই হাট কমিটি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সহ সরকারের পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত হাট চালু করবে না বলেই ঠিক করেছে।রূপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, প্রশাসনিকস্তর থেকে সোনাঝুরির হাট খোলার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি। পাশাপাশি কমিটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করেছে এখনই তারা হাট খুলতে চায় না। সোনাঝুরির হাট কমিটির সদস্য তথা ব্যবসায়ী কাওসর শেখ, ভীম বেরা, হাসান বলেন, পর্যটকশূন্য শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরির হাট না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীতে পঞ্চায়েত ও প্রশাসন যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সেইমতো কাজ হবে।