পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার কাঁলেখাতলার পাইকারি বাজারে শশার আমদানি হয়নি। ফলেয়া পাইকারি বাজারেও একই ছবি দেখা যায়। এদিন পারুলিয়ার পাইকারি বাজারে মাত্র ৫ কুইন্টাল শশা আমদানি হয়েছিল। আমদানি কম থাকায় এদিন পাইকারি বাজারে শশার দর চড়েছিল কেজি প্রতি ৬০ টাকায়। স্থানীয় চাষিদের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে শশার গাছ নষ্ট হয়ে যায়। ফুল, ফল ঝরে গিয়েছিল। ঝড়ে শশার মাচা ভেঙে যায়। করলার অবস্থাও একই। এদিন পূর্বস্থলী রেলবাজার, সমুদ্রগড় বাজার, নাদনঘাট, পাটুলি এলাকায় ভালো মানের শশা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঠের শশা ক্রমশ ফুরিয়ে যাওয়ায় আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
কাঁলেখাতলা পাইকারি বাজারের এক আড়তদার ক্ষুদিরাম মাহাতো বলেন, আশেপাশের মাঠের শশা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এদিন এখানকার কোনও আড়তেই শশার আমদানি হয়নি। আগের দু’দিন কিছু শশা এসেছিল। তার দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। নদীয়ার মাজদিয়া থেকে কিছু শশার জোগান আসে। এদিন সেখান থেকেও আমদানি হয়নি। অন্যান্য সব্জির দামও বেড়েছে। মাচার ভালো মানের ঝিঙে ২৬ টাকা দাম উঠেছে। লকডাউনের সময় ঝিঙের দর ছিল সাত টাকা। লোকাল পটলের দাম ছিল ৬ টাকা। এদিন ২০ টাকা প্রতি কেজি দরে পটল বিক্রি হয়। তুলনায় ভালো বেগুনের দাম কমেছে। এদিন দর ছিল ২২টাকা।
এদিন পারুলিয়ার পাইকারি সব্জি বাজারে আসা অল্প পরিমাণ শশা নিয়ে একের পর এক দাম হাঁকতে থাকেন আড়তদাররা। সপ্তাহ দুয়েক আগেও শশার দাম ছিল ১২ থেকে ১৩ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু বাজারে শশা অমিল হতে থাকায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিন ভালো মানের শশা ৬০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়। বেশি দাম হাঁকায় খুচরো ব্যবসায়ীরা অনেকেই শশা কেনার আগ্রহ দেখাননি। পূর্বস্থলী রেলবাজারের এক সব্জি বিক্রেতা সুদেব দত্ত বলেন, এত টাকা দিয়ে শশা কিনে বিক্রি করব কীভাবে? ৭৫ টাকা দাম চাইলে ক্রেতারা কিনবেন না।
এদিকে, লকডাউন ক্রমশ শিথিল হওয়ার ফলে বিভিন্ন বাড়ি ও মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু হয়েছে। পুজোর নৈবেদ্যতে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে শশা চাই। এছাড়া স্যালাডেও শশা খান সাধারণ মানুষ। এবার রোজা চলাকালীন প্রচুর শশা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এবার পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ফলন কম হয়েছে। ব্লকের সহকৃষি অধিকর্তা জনার্দন ভট্টাচার্য বলেন, উম-পুন ও কালবৈশাখীতে মাঠের অধিকাংশ শশা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাহিদার তুলনায় শশার উৎপাদন কম। সেই ঘটতির জন্যই সম্ভবত শশার দাম চড়তে শুরু করেছে। এদিন বর্ধমান থেকে আসা এক সব্জি বিক্রেতা রাজা দুবে বলেন, শশার দাম বাড়লে আমাদের আসুবিধার কিছু নেই। দাম বেশি হলেও অনেকেই শশা কেনেন। আমরা পাইকারি বাজার থেকে শশা যে দামে কিনি, তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করতেই হয়। তাই দাম অনেকটাই বেড়েছে। নিজস্ব চিত্র