বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা চন্দ্রিমা মণ্ডলের ভাই বছর ৩৫-এর দেবব্রত মণ্ডল ওইদিন প্রমোদপল্লির বাড়ির কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। সেসময় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ সরকার আরও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরবাইকে যাওয়ার সময় হাম্পে পড়ে যান। সেখানেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি। দুর্ঘটনার পর হাম্প তৈরি নিয়ে দেবব্রতর সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। সেসময় ভারী কোনওকিছু দিয়ে দেবব্রতর মাথায় আঘাত করা হয়। দেবব্রত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাযন অভিযুক্তরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত প্রদীপের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকার একটি দোকান এবং বাড়িতেও আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রানাঘাটের এসডিপিও লাল্টু হালদারের নেতৃত্বে এলাকায় পুলিসবাহিনী যায়, দমকলও পৌঁছয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে হয়ে যায়।
২০১৮সাল পর্যন্ত প্রদীপই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চন্দ্রিমা। ভোটে চন্দ্রিমা জিতে তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের দাবি, পুরনো আক্রোশেই এই হামলা। স্থানীয় নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুদীপ প্রামাণিক বলেন, দেবব্রত কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। লকডাউনের কারণে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তিনি রাজনীতি করেন না। প্রদীপ এখন বিজেপি করেন। ওই এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। ও আগে তৃণমূল করলেও নানা অভিযোগে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। শান্তিপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।