পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নদীয়া ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং তাদের ছাতার তলায় থাকা বিভিন্ন সংগঠনের সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় হাজারখানেক বাস চলে। জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় আটটি বাস রাস্তায় নেমেছিল। কোনও কোনও এলাকায় আবার রাস্তায় বেরিয়ে বাস না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। তবে উল্টো চিত্রটাই এদিন বেশি করে ধরা পড়েছে। বাস আছে, যাত্রী নেই। ফলে এতদিন বাদে রাস্তায় বাস নামিয়েও লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে এদিন করিমপুরের একটি বাস ছাড়ে। সেই বাসে সব আসনই ভর্তি হয়। যদিও বাস চলার খরচ, শ্রমিক খরচ দিয়ে মালিকের কাছে কোনও টাকা থাকবে না বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া রানাঘাট-বলাগড় রুটে একটি, রানঘাটা-কালনাঘাট রুটে একটি, নিমতলা-কাচরাপাড়া রুটে একটি, পলাশীপাড়া-বেতাই রুটের মতো কিছু রুটে একটি করে বাস চলেছে এদিন।
নদীয়া জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুণাল ঘোষ বলেন, কিছু বাস রাস্তায় নেমেছিল। তবে লাভের মুখ দেখা তো দূর, রানাঘাট-কালনাঘাট রুটে ৩০টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। লোকসান হচ্ছে। তারপরও কিছু বাস সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নামানো হবে। তবে সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, বাসচালক এবং কন্ডাক্টরদের বিমার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হোক। না হলে বাস মালিকরাও চালক, কন্ডাক্টরদের বাস চালানোর কথা বলতে সংকোচ বোধ করছেন।
বাস মালিকদের একটা অংশ বলছেন, সব আসনে যাত্রী নিয়ে গেলেও প্রতিদিনের খরচ উঠবে না। লোকসানের জন্য বাস নামিয়ে লাভ কী? সরকার বাসের ভাড়াও বাড়াতে দিচ্ছে না। জেলার মূলত তেহট্ট, করিমপুরের দিকে বাস ছাড়া সাধারণ মানুষের যোগাযোগের তেমন কোনও মাধ্যম নেই। প্রাইভেট গাড়ির খরচও সকলে দিতে পারে না। একটি সরকারি বাস চললেও আরও বাস চালানোর দরকার বলে মনে করা হচ্ছে। এই রুটে এদিন কিছুটা যাত্রীও মিলেছে। কিন্তু তাতেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব হচ্ছে না।