গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মিডডে মিল বিলি করা হবে না। সেইজন্য বিকল্প স্থান বাছার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া অভিভাবকদের কাছে সেই খবর পৌঁছে দিতে বিভিন্নভাবে প্রচার করতেও বলা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুন থেকে জেলায় শুরু হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য মিডডে মিল বিলি। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলবে। তাই ওই দিনগুলিতে মিডডে মিল বিলি করতে অন্য কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। সেইজন্য প্রত্যেক পঞ্চায়েতে এমন দু’টি করে স্কুল চিহ্নিতকরণের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২০০টির বেশি স্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। তবে, আরও কিছু স্কুলকে এই তালিকায় রাখা হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে দেখভালের জন্য আলাদা করে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক(এসআই) ও শিক্ষাবন্ধুদের দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক বাপ্পা গোস্বামী বলেন, শিক্ষাবন্ধুরা সাধারণত স্কুলছুট শিশুদের পড়ামুখী করার কাজ করে থাকেন। কিন্তু, এইসময় স্কুল ছুটি থাকায় শিক্ষাবন্ধুরা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দু’টি স্কুলের সুপারভাইজার হিসেবে থাকবেন। তাঁরা স্কুল তথা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সম্পত্তি রক্ষার বিষয়টি নজরে রাখবেন।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বেশকিছু জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য স্কুল পেতে সমস্যা হচ্ছে। সেইজন্য অবর পরিদর্শকরা সমন্বয় রেখে তার কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, মিডডে মিলের চাল ও আলু বিলির ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের আসা নিষেধ করেছে প্রশাসন। সেইজন্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে তাদের অভিভাবকরা নির্দিষ্ট তারিখ মতো এসে মিডডে মিলের সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সরকারি বিধি মানার জন্যও জেলা প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে।