পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক আগে ডিহিগুমাই গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক তন্ময় মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে আসে। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত সহ পাঁচ রাজ্য থেকে আসা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে বলে রাজ্য সরকারের নির্দেশ আছে। তারপরেও অভিযুক্ত পরিযায়ী শ্রমিক কোনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না গিয়ে বাড়ি চলে যায়। তারপর খুশিমতো ঘুরে বেড়াতে থাকে। তা নিয়ে অনেকেই আপত্তি তোলেন। কিন্তু, আপত্তি কানে তোলেনি তন্ময়। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অশোকবাবু তন্ময়ের বাড়িতে গিয়ে এব্যাপারে আপত্তি জানান। সেই সময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখনই তন্ময় বাঁশ দিয়ে অশোকবাবুর মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। অশোকবাবুকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁর ভাই অরবিন্দের স্ত্রী। ওই বধূর মাথাতেও আঘাত করা হয়। তাঁর মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে।
মৃত অশোকবাবু বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মনোরঞ্জন জানার সাইকেলের দোকানে কর্মচারী ছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই ঘটনার পর অশোকবাবুকে নন্দকুমার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, লকডাউনে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ তুলে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে তমলুক শহরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সবিতা মাইতি বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অশোকবাবুর মতো অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিকের বাইরে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তার পরিণাম এমন ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা কল্পনা করতেও পারিনি। এই ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দারা।