পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কল্যাণীতে জেলার প্রথম কোভিড হাসপাতাল করা হয়। সেখানে শয্যা সংখ্যা প্রায় ১০০। সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে ভর্তি রয়েছেন ৭১জন। আপাতত শয্যা যথাযথ রয়েছে। আগামী দু’-এক সপ্তাহও নতুন আক্রান্তের সঙ্গে সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়া মানুষের সংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকায় সমস্যা হবে না। কিন্তু এরপর যে পরিস্থিতি খারাপ হবে তা কারও অজানা নয়। সেজন্যই দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল করার দিকে এগনো হচ্ছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, আমরা আরেকটি কোভিড হাসপাতাল করার দিকে এগচ্ছি। এখনও অবধি করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণীর ওই কোভিড হাসপাতালে হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ বা তেহট্টর দিক থেকে করোনা রোগীকে পাঠাতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে। সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে ওইসব এলাকার মানুষেরও যাতে সুবিধা হয় এমন একটি জায়গা বাছতে। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের সারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এখানে পরিকাঠামো রয়েছে। জেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক বা অন্যান্য কর্মী পেতেও সুবিধা হবে। চাকদহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে তখন সারি হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। যদিও এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের বনগ্রাম এলাকার এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবারই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫০ছাড়িয়েছে বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নদীয়া জেলায় এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮০জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় সব ব্লকেই আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলাবাসীর অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার পরেই জেলার অবস্থা এতটা খারাপ হয়েছে। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার মতো ভুল সিদ্ধান্তে প্রশাসন জেনে বুঝে আরও বিপদ বাড়িয়েছে।