বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট-১ ব্লকের আমোদপুর এলাকায় স্থানীয় একটি বিদ্যালয়কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের কথা সরকারি তরফে বলা হয়। কিন্তু, গ্রামের জনবহুল এলাকায় বিদ্যালয়টি থাকায় আপত্তি তুলেছিলেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। তারপরেই এগিয়ে আসেন একটি ক্লাবের সদস্যরা ও স্থানীয় যুবকরা। তাঁরা এলাকার মানুষদের কাছে চাঁদা তুলে গ্রামের শেষ প্রান্তে ফুটবল খেলার মাঠের এক কোণে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করেন।
এব্যাপারে ওই সেন্টার তৈরির উদ্যোক্তা তথা গোঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জিত পাখিরা বলেন, ওই সেন্টারে কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাব। রাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য ক্লাবে থেকে স্থানীয় যুবকরা পালা করে রাত পাহারা দেবে। অন্যদিকে, আরামবাগের হরিণখোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর এলাকায় পরিত্যক্ত একটি শ্মশানের পাশে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ ভিন রাজ্য ফেরত সাত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে ওই কোয়ারেন্টাইনের ছাউনি ও প্যান্ডেল সবটাই উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। রাতে কার্যত খোলা আকাশের নীচে সাপ, পোকামাকড়ের সঙ্গে তাঁদের কাটাতে হয়েছে। পরে তাঁরা স্থানীয় একটি আইসিডিএস সেন্টারের বারান্দায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এমনকী, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে তাঁদের জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। এনিয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী প্রতিহার বলেন, দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা ব্লক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।