পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ধর্মস্থান খোলার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেন। সেই ঘোষণার পর পরই মন্দির কমিটিগুলি বৈঠক করে তা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো এদিন জেলায় নলাটেশ্বরী, কঙ্কালীতলা, ফুল্লরা ও নন্দীকেশ্বরীতলা খুলে দেওয়া হয়। যদিও বক্রেশ্বর মন্দির খোলা হবে কি না তা নিয়ে সোমবারই বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কমিটির। একথা জানিয়েছেন সম্পাদক রানা চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। তার জেরে জেলায় তারাপীঠ সহ পাঁচ সতীপীঠও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কমিটি। তবে, নিয়ম মেনে মন্দিরগুলিতে দেবীর পুজো-পাঠ চলছিল। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার আনলক-১ ঘোষণা করার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মন্দির খোলার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেন। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলায় সতীপীঠগুলি খোলা হয়েছে।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রীতি মেনে মন্দিরগুলিতে পুজো শুরু হয়। দেবীর জন্য ভোগ নিবেদনও করা হয়। কিন্তু, এদিন ভাণ্ডারা বন্ধ ছিল। মন্দির কমিটিগুলির দাবি, পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে তবেই ভাণ্ডারা চালু হবে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দেওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেককেই মাস্ক পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। তবে বীরভূমে শুধু সতীপীঠই নয়, ঐতিহ্যবাহী অন্যান্য মন্দিরগুলিও এদিন পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সিউড়িতে মৌমাছি মা আনন্দময়ী মন্দিরে দূরত্ব বজায় রেখে পুজো করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আকালিপুর গুহ্যকালী মন্দিরও খোলা হয়েছে। সেখানেও সরকারি বিধি মানা হচ্ছে। এদিন নন্দীকেশ্বরীতলায় সস্ত্রীক পুজো দেন সাঁইথিয়া পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মুক্তি পাওয়ার কামনায় এদিন মায়ের কাজে পুজো দিয়েছি। তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা প্রার্থনাও করেছি। এদিন মন্দির খুলেছে বলে পুজো দেওয়া হয়েছে।
লাভপুরের ফুল্লরা মন্দির কমিটির ম্যানেজার তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন রীতি মেনে সকাল ৭টায় মন্দিরে পুজো হয়েছে। কিছু পুণ্যার্থীও এসেছিলেন। তাঁরা পুজো দিয়েছেন। মন্দিরে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরীতলা মন্দিরের পুরোহিত কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, মন্দিরে এদিন স্থানীয় ভক্তরা এসে পুজো দিয়েছেন। তবে, আপাতত মায়ের মূর্তিকে ছোঁয়া নিষেধ করা হয়েছে। কঙ্কালীতলা মন্দির কমিটির সভাপতি মহাদেব চৌধুরী বলেন, সোমবার এখানেও রীতি মেনে পুণ্যার্থীদের জন্য পুজো শুরু হয়েছে। প্রত্যেকদিন যেমন পুজো হয় সেভাবেই হয়েছে। তবে, ভিড় না হলেও কেউ কেউ পুজো দিতে এসেছেন।
অন্যদিকে, নলাটেশ্বরী মন্দির কমিটির সম্পাদক শুভব্রত সিনহা বলেন, মন্দির খোলার আগে রবিবার চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে মন্দিরে ১০জন করে পুণ্যার্থী ঢোকানো হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য নিয়ম মানার জন্য মূল ফটকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। মন্দির কমিটির তরফে পুণ্যার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। এদিন ভিড় হয়নি।