পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইমতো বিভিন্ন পরিবহণের মাধ্যমে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিযায়ীরা নিজের এলাকায় ফিরে আসছেন। সেখানে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও শারীরিক পরীক্ষার পর ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসার পর প্রায় প্রত্যেক এলাকাতেই বেড়ে গিয়েছে করোনার সংক্রমণ। তাই সেইসব জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে সেখানে শ্রমিকদের রাখার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, পরিযায়ীদের এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও অশান্তি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে থাকা মানুষের মূল দাবি, কিছুতেই তাঁদের সুরক্ষিত এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা যাবে না। তাই সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এবার পথে নামল বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লক। দপ্তরের আধিকারিকরা অধিকাংশ গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন ও ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লক এলাকার অন্তর্গত কসবা, বাহিরী–পাঁচশোয়া, রায়পুর–সুপুর, রূপপুর, সিঙ্গি, রজতপুর প্রত্যেক এলাকাতেই দুই বা তার অধিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। প্রথমদিকে এই সেন্টার গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ অশান্তি হলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মূলত গ্রামের বাইরে যে সমস্ত ছোট-বড় স্কুল রয়েছে সেগুলিকে সেন্টার করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি ছিল সেখানে সমস্ত ব্যবস্থাই ছিল। এখন স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোগত যে বিষয়গুলি রয়েছে তা প্রশাসন দেখলেও পরিযায়ীদের খাবার রান্না হয়ে চলে আসছে নিজের নিজের বাড়ি থেকে। পুলিস ও প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই।
বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, সরকারি নির্দেশমতো সেন্টারগুলিকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামীতে সংক্রমণের মাত্রা কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের সচেতনতা ও উদ্যোগের ফলেই এই সমস্যা মিটেছে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ব্লকের প্রত্যেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।