রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এলাকায় এসেছেন। তাঁদের অনেকে এলাকার পঞ্চায়েতগুলি থেকে তৈরি করা বিভিন্ন স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নানা সমস্যা হচ্ছিল হয় বলে পরিযায়ী শ্রমিকরা অভিযোগ তুলছিলেন। পুরন্দরপুর স্কুলে থাকা আবু তাহের শেখ বলেন, এখানে প্রথম দিন খুব কষ্ট হয়েছে। খাবারের ব্যবস্থা ছিল না, থাকার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। তাই অনেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু পরদিন সকালে পঞ্চায়েত থেকে খাবার ও সাহায্যের জন্য কয়েকজন যুবককে পাঠানো হয়। ফলে সেন্টারের সমস্যা কেটে গিয়েছে। মহালন্দি সেন্টারের শ্রমিক স্বপন দাস বলেন, আমার পরিবারের অবস্থা ভালো নয়। তাই বাড়ি থেকে খাবার দিতে পারছিল না। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি খাবার পাঠানোয় এখানে আর থাকার কোনও সমস্যা আমাদের কারও নেই।
প্রসঙ্গত, কান্দি ব্লক এলাকায় আটটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রায় ২৫০জন শ্রমিক রয়েছেন। পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বৃন্দাবন মণ্ডল জানান, পরিযায়ীদের যাতে কোনও সমস্যা না সেজন্য কয়েকজন যুবক তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা ও প্রয়োজনের দিকে নজর রাখবেন। কান্দির বিডিও নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে পঞ্চায়েত সমিতি খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছে। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছেন। পাশাপাশি কান্দি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্টারগুলিতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হচ্ছে। খাবার ও অন্যান্য সুবিধা পেয়ে শ্রমিকদের বেশিরভাগই খোশমেজাজে রয়েছেন। অনেক জায়গায় একসঙ্গে পিকনিকের মতো আনন্দে করতে দেখা যাচ্ছে।