কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনি এবং রবিবারও ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের স্ক্রিনিং করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক প্রশাসনকে তথ্য না দিয়েই জেলায় ঢুকেছেন বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসন তাঁদের সন্ধানে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। এক আধিকারিক বলেন, ভিনরাজ্য থেকে কত সংখ্যক শ্রমিক জেলায় ফিরছেন তার কোনও আগাম তথ্য থাকছে না। হঠাৎ করে বলা হচ্ছে ট্রেন ঢুকছে। তাতে বিপত্তি আরও বাড়ছে। রবিবার সকালেও মুম্বই থেকে একটি ট্রেন বহরমপুরে এসেছে। হুগলি, উত্তর ২৪পরগনা সহ বিভিন্ন এলাকার লোক ট্রেনে ছিলেন। তাঁরা স্টেশনে নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, ট্রেনটি ব্যান্ডেল বা অন্য কোথাও দাঁড় করানো হলে এতটা দূর তাদের আসতে হতো না। ট্রেনের মধ্যে খাবারের ব্যবস্থাও ছিল না। চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে।
এদিকে জেলায় দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর বুলেটিন দিয়ে জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে ৪৪হাজার ৫১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরে দু’হাজার ১৩৬ জন ঘরে বন্দি রয়েছেন। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় ৫৯জন সুস্থ হয়েছেন। শনিবার রাতে ১১জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। রবিবার দুপুরে আরও চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ হতে থাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যেও চিন্তা বেড়েছে। আক্রান্তদের এলাকা সিল করা হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।