কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বীরভূমের মুরারই থেকে সড়ক পথে রাজগ্রাম, পলশা সহ ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার জন্য বাঁশলৈ গ্রামের কাছে রেলের আন্ডারপাস রাস্তা তৈরি করা হয়। বহু বছর ধরে সংকীর্ণ ওই আন্ডারপাস পেরিয়েই দুই রাজ্যের মানুষ সহ যানবাহন চলাচল করে আসছে। যদিও তীব্র যানজট নিত্যসঙ্গী। ফি বছর বর্ষায় আন্ডারপাসে কয়েক ফুট উঁচু জল দাঁড়িয়ে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। একইভাবে প্লাবিত হতো লাগোয়া গ্রাম ও চাষযোগ্য জমি। বহু বছর ধরে সমস্যার কথা তুলে ধরে রেলের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন এলাকার মানুষ। রাজ্যে পালাবদলের পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও একের পর আবেদন রেলকর্তাদের কাছে পাঠান। গত বছরের নভেম্বর মাসে সেই আবেদনে সাড়া দেয় রেল। সেই কাজের জন্য গত ১৫ নভেম্বর হাওড়া ডিভিশন বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে মুরারই এবং বাঁশলৈ স্টেশনের মাঝে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ১৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বেশ কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি দেয়। এছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
ওইদিন সকালে রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতিতে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আপ এবং ডাউন দু’টি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য রেললাইনের তলা থেকে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি কাটা শুরু হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ছিল। স্ল্যাব বসানো চলছিল। সেই সময় দু’দিকেই ধস নামা শুরু হয়। বেগতিক বুঝে রেললাইনের উপর থেকে দু’টি ক্রেনই পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে, ধস নামা এলাকায় মাটি ভরাট করে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় রেল। ওই অবস্থাতেই শুরু হয় ট্রেন চলাচল। এদিকে এলাকাবাসীর স্বপ্নপূরণ দোরগোড়ায় এসেও সব মাটি হয়ে যায়। অন্যদিকে, ধস নামার কারণে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখে রেল।
অবশেষে সাতমাস পর ফের আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরু করছে রেল। মুরারই-১ ব্লকের বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, রেলের পক্ষ থেকে সূচনা এসেছে। সেইমতো দু’দিন আগেই আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, এবার উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এবার সফল হবেই।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ভারতীয় রেল সবসময় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই কাজকর্ম করে। এই কাজ তারই একটা অঙ্গ।