বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মহুয়াদেবী বলেন, কমিটিতে প্রত্যেক ব্লকের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, গ্রামীণ এলাকার নেতাদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ, নেতারা ভোটে আমাদের সবসময় পাশে থাকেন। মহিলা, সবধর্মের সকলকে গুরুত্ব দিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। সবভাবে নতুন এই কমিটির ভারসাম্য রাখার চেষ্টা হয়েছে। দলের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়েই সবটা হয়েছে। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই নতুন করে বাড়তি উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করবেন এটাই আশা করব।
জানা গিয়েছে, গোটা জেলা কমিটির মধ্যে প্রায় ৩০শতাংশ পদাধিকারীকে এবার প্রথম জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। মহুয়া ঘনিষ্ঠ নেতাদের দাবি, যাঁরা যোগ্য, শিক্ষিত এবং দীর্ঘদিন ধরে দল করছেন বেছে বেছে এমন বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন কমিটি করার অভিযোগ ঠিক নয়। একাধিক বিধায়ক নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁদের বিষয়ে খতিয়ে দেখে কমিটিতে রাখা হয়েছে। কে কার লোক, তাও দেখা হয়নি। এমনকী গোষ্ঠী সমস্যা যাতে কমানো যায়, সেজন্য দু’পক্ষকে রাখা হয়েছে এমন নজিরও রয়েছে। ওই নেতার কথায়, তেহট্ট-১ ব্লকে লোকসভা ভোটের আগে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ব্লক সভাপতি বদল করা হয়েছিল। আজকে যাঁরা প্রশ্ন করছেন তাঁরা আগে নিজেদের প্রশ্ন করুন। নতুন কমিটি নিয়ে রাজ্য নেতাদের কাছে জেলার পুরনো নেতারা দু’-একজন অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে তাতে আমল দিতে একেবারেই রাজি নন মহুয়া।
নতুন কমিটিতে দেখা যাচ্ছে তেহট্ট-১ ব্লক, নাকাশিপাড়া এবং কৃষ্ণনগর-১ (উত্তর) ব্লক সভাপতিও বদল করা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট আসনে ঠাঁই পেয়েছেন মোট চারজন। সেখানে প্রধান্য পেয়েছে সংখ্যালঘু মুখও। জেনারেল সেক্রেটারি করা হয়েছে চারজনকে। সেক্রেটারি পদেও বেশ কয়েকজন কর্মঠ, শিক্ষিত নেতৃত্বের নতুন করে ঠাঁই হয়েছে। সমস্ত বিধায়ককে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। তৃণমূলের নদীয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি ও তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, নতুন কমিটি হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে। প্রথা বা রীতি অনুযায়ী এব্যাপারে কোনও কথাবার্তা বা আলোচনা আমার সঙ্গে অন্তত হয়নি। রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, অধিকাংশ বিধায়কই নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ। যেটা হয়েছে খুব ভালো হয়নি। রাজ্য নেতৃত্বও সন্তুষ্ট নয়। কল্লোলবাবু বলেন, উনি তুঘলকি রাজ চালু করেছেন। কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এই কমিটি হয়েছে। আমি কমিটির বিরোধিতা করছি।