পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের করোনা চিকিৎসার জন্য বোলপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে আপাতত ৪০টি শয্যা রয়েছে। যদিও প্রতিদিন বীরভূমে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বোলপুরের ওই কোভিড হাসপাতালে তাঁদের বেড দিতে বিপাকে পড়তে হয় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরকে। তার জেরে কোভিড হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছুটি না দেওয়া পর্যন্ত নতুন আক্রান্তদের ভর্তি করা যাচ্ছিল না। তার জেরে অনেককে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা বাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয়। বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ক্ষেত্রে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
প্রশাসনের দাবি, জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৫০জনের বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বেশিরভাগই রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক। তবে, তাঁদের কারও শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তাই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার এই পদ্ধতিতে বদল আনছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থানা এলাকায় একটি লজ আগেই আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রশাসন নিয়েছিল। এবার সেখানেই উপসর্গহীন আক্রান্তদের রাখা হবে। তাঁদের জন্য সেখানে দু’বেলা ডাক্তারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া ওই লজ থেকে রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতালের দূরত্ব গাড়িতে ১০ মিনিটের পথ। তাই অসুস্থতার লক্ষণ দেখা গেলে তাঁদের সেখানে খুব সহজেই স্থানান্তর করা যাবে। এমনকী, রোগীদের স্থানান্তর করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রামিত পাঁচ রাজ্য থেকে ফেরাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা বাধ্যতামূলক। তাই তাঁদের রাখতে জেলার প্রতি পঞ্চায়েতে দু’টি করে স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলায় এরকম প্রায় ৩০০টি স্কুলকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে আবার এখনই ৬৭টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চলছে। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন রাখা হবে। সেখান থেকে লালারস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। তারপর পজিটিভ রিপোর্ট এলে তাঁদের প্রাথমিকভাবে রামপুরহাটের ওই লজে রাখা হবে। কোভিড হাসপাতালের শয্যা আগে থেকে দখল না করিয়ে জেলা প্রশাসন লজে রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে।
তবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। রবিবার সিউড়ি কড়িধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বহিরাগতদের রাখা নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। তার জেরে বাসিন্দারা সিউড়ি-রাজনগর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলাশাসক বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সেখানে করা হচ্ছে না।