গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ২৩১৮ জন শ্রমিক ঝাড়গ্রামে ফিরেছেন। এরমধ্যে নয়াগ্রাম ব্লকে ৭৭০ জন, সাঁকরাইল ব্লকে ৩৬১ জন, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে ৩৩২ জন, বেলিয়াবেড়া ব্লকে ৪৮ জন, জামবনী ব্লকে ২৪৫ জন, ঝাড়গ্রাম ব্লকে ২১৪ জন, লালগড় ব্লকে ৪২ জন এবং বেলপাহাড়ি ব্লকে ৩০৬ জন রয়েছেন। বাইরের রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এছাড়া আরও আড়াই হাজার শ্রমিক অন্যভাবে জেলায় ফিরেছেন। কিন্তু সেই তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। সেজন্য ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আশকর্মী, ব্লক অফিসের কর্মী ও পুলিসের মাধ্যমে জেলাজুড়ে সার্ভে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলায় মোট ৫০০০ পরিযায়ী শ্রমিকের আসার সম্ভবনা রয়েছে। তবে রাজ্যের বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে কালি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কালি লাগানোর ক্ষেত্রে দু’রকম নির্দেশ দিয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে যেসব শ্রমিক রয়েছেন, তাঁদের ডান হাতের বুড়ো আঙুলে কালি লাগাতে হবে। যাঁরা সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁদের ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও তর্জনীতে কালি লাগাতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরছেন। কিন্তু তাঁরা অনেকক্ষেত্রেই ১৪ দিন সরকারি বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের চেনার সুবিধার্থে হাতি কালি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।
গোপীবল্লভপুর-১এর বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র বলেন, জেলা থেকে আমাদের ব্লকে কালি এসেছে। খুব শীঘ্রই আশাকর্মীরা কালি লাগানোর কাজ শুরু করবেন। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে বের হলে যাতে বোঝা যায়, সেজন্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হাতে কালি লাগানোর কাজ চলছে। জেলাজুড়ে মোট কত পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন, তা সার্ভে করে দেখা হচ্ছে।