কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল বিলি করার জন্য মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র শনিবার সন্ধ্যায় এলাকায় যান। তিনি দুঃস্থদের মধ্যে ত্রিপল বিলি করে চলে আসার পরই এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতৃত্ব এলাকা ছেড়ে চলে আসার পর কয়েকজন বিজেপি কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় দুই তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ সিং ও মহাদেব দে-র উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তাঁদের রাস্তায় ফেলে মারা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমল সিংয়ের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। একটি বাইকও ভাঙুচর করার অভিযোগ উঠেছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমল কর্মীরা জড়ো হলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিস এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। একজন বিজেপি কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে ও পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তৃণমূল কর্মীরা জখম দুই দলীয় কর্মীকে উদ্ধার করে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাতের দিকে বিষ্ণুপদ সিংকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মহাদেববাবু বলেন, ত্রিপল বিলি অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা দু’জনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ লোহার রড, লাঠি নিয়ে কয়েকজন বিজেপি কর্মী আমাদের উপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা কিছু বোঝার আগেই রাস্তায় ফেলে মারধর করতে থাকে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ সবেরাতি বলেন, ওদের দলের এক নেতা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় ওদের রাগ ছিল। আগেও কয়েকবার ওরা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবারের ঘটনায় পুলিস যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, ওই দিন মন্ত্রী সৌমেনবাবু এলাকায় ত্রিপল বিলি করতে গিয়েছিলেন। ত্রিপলের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যেই বিরোধ দেখা দেয়। ওরাই মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। শুনেছি, তাতে ওদের দু’জন কর্মী জখম হয়েছেন। ঘটনা চাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।