গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, এদিন করোনাকে জয় করে বাড়ি ফেরা সাতজনের হাতে গাছের চারা ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিলেন মুরারই-১ ব্লকের বিডিও। যার মধ্যে একটি ছ’বছরের শিশুকন্যা রয়েছে। তাঁদের একটি করে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন বিডিও নিশীথভাস্কর পাল।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মুরারই-১ ব্লকের ১০জন, নলহাটি-১ ব্লকের ছ’জন, রামপুরহাট-২ ব্লকের আটজন ও ময়ূরেশ্বর-১ ও মুরারই-২ ব্লকের একজন করে ও একজন রামপুরহাট শহরের বাসিন্দা রয়েছেন। সকলেই রেড জোন মহারাষ্ট্র ফেরত। রামপুরহাট-২ ব্লকের আটজনের মধ্যে পাঁচজন একই গ্রামের। ওই গ্রাম আগে থেকেই কনটেইনমেন্ট জোনে রয়েছে। ২৫মে তাঁদের কেউ নিজের উদ্যোগে, কেউ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এলাকায় ফেরেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রেখে পরের দিন লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের সকলকে কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। যদিও অনেকেই সেই নিয়ম মানেননি। এদিন তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মুরারই-১ ব্লকের বছর ৪২-এর ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাকে মুম্বই চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েছিল তাঁর পরিবার। ঈদের পরের দিন তাঁরা ট্রেন যোগে এলাকায় ফেরেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে সোয়াব সংগ্রহের পর হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পরিবার বাজারহাট সবেতেই ঘুরেছেন। ফলে, আতঙ্কিত গোটা গ্রাম। সেক্ষেত্রে নজরদারি কমিটির গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এদিকে আক্রান্ত আট বছরের এক বালিকার বাবা জানান, ২৫মে স্বামী-স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাসে করে মুম্বই থেকে এলাকায় ফিরি। সঙ্গে নলহাটি-১ ব্লকের আরও ২৬জন ছিলেন। সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রেখে সকলের নমুনা সংগ্রহের পর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিন আমাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও মেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, বিকেল পর্যন্ত মেয়ে বাড়িতেই আলাদাভাবে রয়েছে। অন্যদিকে, রামপুরহাট শহরের আক্রান্ত ব্যক্তি ২৪মে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপসর্গ থাকায় তাঁকে রামপুরহাট কোভিড সেন্টারের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। এদিন তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
অন্যদিকে, নানুরের আক্রান্ত যুবক ফিরেছিলেন মুম্বই থেকে। রবিবার তাঁর সংস্পর্শে আসা ১১জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বাড়ি ফেরার সময় নতুনহাট থেকে একটি মারুতি ভাড়া করেন। ওই মারুতির চালকের খোঁজ করছে পুলিস।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(১) ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, এদিন আক্রান্ত ১২জনকে রামপুরহাট ও বাকিদের বোলপুর করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। বাকি আরও কারা সংস্পর্শে এসেছেন তাঁর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।