বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিল্পশহরের মতোই বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা ঝড়-বিধ্বস্ত হলদিয়া মহকুমার ব্লকগুলির। ঝড়ের ১০দিন পরও সুতাহাটা, হলদিয়া, মহিষাদল ব্লকের ৭০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল লাগোয়া সুতাহাটা ও হলদিয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সুতাহাটা ব্লক এলাকায় ডোমেস্টিক লাইনের(এলটি লাইন) প্রায় ২৩০০ খুঁটি নষ্ট হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চৈতন্যপুর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অধীন এই এলাকায় ৪০০টির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯০টি ট্রান্সফর্মার চার্জ করে ৮-১০হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, ব্লক এলাকায় প্রায় ৩২হাজার পরিবার রয়েছে। এদের এক তৃতীয়াংশ, যাদের বড় রাস্তার পাশে বা গঞ্জ এলাকায় বাড়ি, তারাই মূলত বিদ্যুৎ পেয়েছে। ৬টির মধ্যে এখনও চারটি পঞ্চায়েত অফিসে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ফলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজকর্ম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পঞ্চায়েতগুলি। জেনারেটর ভাড়া করে কম্পিউটার চালিয়ে তাদের আপাতত কাজ করতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস, ব্যাঙ্ক, সরকারি অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সজলধারা প্রকল্পগুলিতে অচলাবস্থার জন্য গ্রামে গ্রামে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টি পঞ্চায়েত অফিসে এখনও বিদ্যুৎ না পৌঁছনোয় বিপাকে পড়েছে মহিষাদল ব্লক প্রশাসন। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এখন পঞ্চায়েতের কাজ বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি ভাঙা থেকে কৃষি, মৎস্য সহ নানা ধরনের ক্ষতিপূরণের ফর্ম পূরণ করে পঞ্চায়েতে জমা দিতে হচ্ছে। সেখানে বেনিফিসিয়ারির পাসবই নম্বর ও আইএফএস কোড দেওয়া বাধ্যতামূলক। পঞ্চায়েত অফিস থেকে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করে দ্রুত বিডিও অফিসে পাঠাতে হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বর্ষার আগে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিদ্যুৎ না থাকায় পঞ্চায়েতগুলির কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
মহিষাদলের বিডিও জয়ন্ত দে বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার জন্য পঞ্চায়েতের লোকজন এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মীরা বিডিও অফিসে এসে রাতদিন কাজ করছেন।
হলদিয়ার গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে গত শুক্রবার বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা। তিনি বলেন, হলদিয়ায় কাজের জন্য বাইরের জেলা থেকে দক্ষ কর্মী আনার উদ্যোগ নিয়েছিল বিদ্যুৎ দপ্তর। কিন্তু, করোনার রেড জোন হলদিয়া থেকে ফিরলেই তাদের ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, এই ভয়ে কেউ আসতে চাইছে না। চকদ্বীপা অঞ্চলের ডালিম্বচক গ্রামের সুকুমার সামন্ত বলেন, গ্রামের যুবকরাই এখন লাইন টানার কজে বিদ্যুৎ দপ্তরকে সাহায্য করছে।