গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার চাষের পরিমাণ ২৫ শতাংশর বেশি বাড়বে। বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে, চাষের উপযুক্ত জমিগুলিতেও মানুষ তেমন চাষ করতেন না। কিন্তু, এবছর চাষের জমি ছাড়াও বিভিন্ন পতিত জমিতেও বীজ বোনার জন্য ইতিমধ্যে এলাকার প্রচুর মানুষ জমি চষার কাজ শুরু করেছেন।
সাঁতুড়ি ব্লকের বাসিন্দা অর্জুন মাণ্ডি, সোহন কিস্কু বলেন, ওড়িশায় কাজ করতাম। লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরে এসেছি। হাতে তেমন কাজ নেই। তাই ধান চাষের জন্য ইতিমধ্যে হাল নিয়ে জমিচষার কাজ শুরু করেছি। ধান ছাড়াও কিছুটা জমিতে সব্জি চাষ করব। তাতে কোনওরকম খাবার তো জুটবে।
রঘুনাথপুর-২ ব্লকের বাসিন্দা রাখহরি বাউরি বলেন, বাইরের রাজ্যে রান্নার কাজ করতাম। লকডাউনে বাড়ি ফিরে এসেছি। অন্য বছর জমি ভাগে দিয়ে দিতাম। এবার নিজেই জমিতে ধান চাষ করব। পারলে অন্যের জমিও ভাগে নিয়ে চাষ করব।
পাড়ার বাসিন্দা ভজন মণ্ডল বলেন, চেন্নাইয়ে কাজ করতাম লকডাউনে ফিরে এসেছি। পরিস্থিতি অনুসারে এখন এক বছর কাজে যেতে পারব না বলেই মনে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সব্জি, আনাজ চাষ করে কোনওরকম সংসারটা তো চালাতে পারব।
নিতুড়িয়ার সহ-কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন বলেন, রঘুনাথপুর মহকুমা কৃষি নির্ভর এলাকা। তাই এখানে চাষের প্রতি মানুষের একটা আলাদা ঝোঁক রয়েছেই। তবে এবার এলাকায় খবর নিয়ে দেখেছি, পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশও চাষের প্রতি ঝুঁকছে। ফলে আমরা আশাবাদী, গত বছরের তুলনায় ২০-২৫ শতাংশ চাষের পরিমাণ বাড়বে। এবছর পুরুলিয়ার ২০টি ব্লকের জন্য অড়হর, ভুট্টা ও বাদাম বীজ আসছে। রুখা পুরুলিয়ায় এই সব শস্যের চাষ বেশ ভালো হয়। শুধু তাই নয়, কৃষিদপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতি ব্লক এলাকায় অড়হর, ভুট্টা ও বাদাম মিলিয়ে মোট ৫০ হেক্টর জায়গায় চাষ করতে হবে। এবার আশা করছি, অনায়াসে সেই টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে।
তবে কয়েকজন চাষি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার ও কীটনাশকের দামের প্রতি সরকারের কোনও নজরদারি নেই। সার ও কীটনাশকে সরকার ভর্তুকি দিলে খুবই ভালো হয়।