কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন শুরু হওয়ার পর গত ১ এপ্রিল বর্ধমানে গাংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। যদিও নেওয়ার পর সেটিকে প্রি-কোভিড হাসপাতাল করা হয়। সেখানে প্রায় ১২৮টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রি-কোভিডের অর্থ হল, যে সকল রোগীদের করোনার উপসর্গ রয়েছে অথবা যাঁরা করোনা আক্রান্তের প্রাইমারি কনট্যাক্টে এসেছেন, তাঁদের ভর্তি নেওয়া হয়। সেখানে রেখে তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাঁদের কোভিড বা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় হু হু করে বাড়ছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিনেই জেলায় এক শিশু সহ ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের ৩৪ জনই পরিযায়ী শ্রমিক। ওই শিশুর বাবা-মাও পরিযায়ী শ্রমিক। তাই গাংপুরের প্রি-কোভিডকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের মলানদিঘির ওই কোভিড হাসপাতালে রাতে কোনও আক্রান্তকে পাঠাতে সমস্যাও হচ্ছে। তাই দুর্গাপুরে রোগী পাঠানোর ব্যাপারে কয়েকটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতি জেলার জন্য ওই হাসপাতালে একজন করে লিয়াজোঁ অফিসার রাখা হবে। ইতিমধ্যেই সেখানে পশ্চিম বর্ধমানের লিয়াজোঁ অফিসার রয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ওই হাসপাতালে ভর্তির জন্য এবং ছুটির জন্য দু’টি পৃথক ডেস্ক করতে বলা হয়েছে। যাতে এক জায়গায় ভিড় না বাড়ে। তৃতীয়ত, জেলার যে কোনও প্রান্ত থেকে আক্রান্ত রোগী পাঠানোর তিন ঘণ্টা আগে ওই কোভিড হাসপাতালকে মেল করে জানাতে হবে। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারে। আচমকা রোগী পাঠালে তাদেরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। সেই কারণেই এই সকল গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে আমাদের জেলার একজন লিয়াজোঁ অফিসার দেওয়া হবে। তিন ঘণ্টা আগে জানানোর বিষয়টিও আমরা স্বাস্থ্যদপ্তরকে বলে দিয়েছি। জেলাশাসক বলেন, এখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার জন্য দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে আক্রান্তদের পাঠানোর পাশাপাশি, আমরা গাংপুরের প্রি-কোভিড হাসপাতালকে জেলার কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেই মতো প্রশাসনিক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। প্রি-কোভিড হাসপাতাল আর থাকবে না। এখন আমরা যাঁদের প্রি-কোভিডে ভর্তি করছি, সেই ধরনের রোগীদের এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই ভর্তি করা হবে।