পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ কোলে নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক তাঁর পরিবার নিয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর গ্রামে ফেরেন। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। কিন্তু, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরিকাঠামো ওই দুঃস্থ পরিবারের ছিল না। তাই স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের ক্লাবে থাকার ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই ক্লাবের পাশেই রয়েছে গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ঝুম্পা সিংহ কারকের বাড়ি। ভিন রাজ্য ফেরত ওই পরিবারকে ক্লাবে থাকতে বাধা দেন ঝুম্পাদেবী। এমনকী, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রসেনজিৎবাবু বলেন, আমরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এসেছি, এটাই অপরাধ। প্রধান আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য জায়গায় পঞ্চায়েত প্রধান ভিন রাজ্য ফেরত মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু, এখানে চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। পাশের একটা স্কুলে রয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল বলেন, আমার দাদা অনুপ মণ্ডল মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। বাড়ির এক কোণে টিনের ঘর করে ওঁর থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু, থাকতে দেওয়া হয়নি। প্রধান আমাদের বলেন, টিনের ঘরের ফাঁক দিয়ে করোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাদাকে আশ্রয় নিতে হয়েছে।