বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রাশসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে যে ১৯ জনের পজিটিভ এসেছে, তাঁদের প্রায় সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। ১৯ জনের মধ্যে কালনায় ৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। দু’জনের বাড়ি ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামকালনায় এবং অন্যজনের বাড়ি আটঘড়িয়া-সিমলন পঞ্চায়েতের শাখাটি গ্রামে। দিন দশেক আগে ওই ৩ পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বই থেকে ফিরেছেন। কালনার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, তিনজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁদের দুর্গাপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। বাড়ির লোকেদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সিল করা হয়েছে। মন্তেশ্বরেও ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পিপলন গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচু গ্রামে ১ জন এবং ভাগরা-মূলগ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগরা গ্রামে ১ জন। ইচু গ্রামের যুবক মুম্বই থেকে এবং ভাগরা গ্রামের যুবক সুরাট থেকে ফিরেছেন।
এছাড়াও বর্ধমান-১ ব্লকে ২ জন, বর্ধমান-২ ব্লকে ১ জন, মেমারি-২ ব্লকে ২ জন, জামালপুরে ১ জন, কাটোয়া-২ ব্লকে ৩ জন, মঙ্গলকোটে ২ জন, কেতুগ্রাম-১ ব্লকে ১ জন এবং কেতুগ্রাম-২ ব্লকে ১ জন রয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী এদিন সন্ধ্যায় বলেন, শনিবার নতুন করে ১৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, পশ্চিম বর্ধমানে যে ৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে, তাঁদের মধ্যে তিনজনই দুর্গাপুরের বাসিন্দা। এর মধ্যে দুর্গাপুরের পলাশডিহার ২ জন গাড়ি চালক এবং বি-জোনের এক যুবতী রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী দিল্লিতে ছিলেন। তাঁকে নিয়ে আসার জন্য দুর্গাপুর থেকে গাড়ি করে ওই চালক দিল্লি গিয়েছিলেন। তাঁরা ফেরার সময় ডুবুরহিডি চেকপোস্টে তাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁকতোড়িয়া বাজারে এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ২৫ মে দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। এদিন তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ আসে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ইন্দ্রাণী আচার্য বলেন, একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই ওই এলাকায় আমরা স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করেছি।