পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৩জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারমধ্যে ১২জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। শনিবার আরও পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। তমলুক ব্লকের ৩৩বছরের এক যুবতী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন দুপুরে তাঁকে মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এগরা-১ব্লকে তিনজন এবং এগরা-২ব্লকের একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার সকালে তাঁদের বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এগরা-১ ও ২ব্লকের আক্রান্ত চারজনই পরিযায়ী শ্রমিক।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা-১ব্লকের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের উষ্মা গ্রামের ৪৩বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্র থেকে পাঁচদিন আগে ফিরেছেন। একইভাবে ছত্রী গ্রামের ২৪বছরের এক যুবক মহারাষ্ট্র থেকে এবং তেঁতুলিয়াগিরি গ্রামের ১৯বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক গুজরাত থেকে দিনকয়েক আগে বাড়ি ফিরেছেন। প্রত্যেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তাঁদের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন। এগরা-২ব্লকের বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর তাজপুর গ্রামের ৩৬বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
তমলুক ব্লকের বিষ্ণুবাড়-১গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দর্জা গ্রামের ৩৩বছর বয়সি ওই যুবতীর একটি অপারেশন হওয়ার কথা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেই অপারেশন হওয়ার আগে করোনা টেস্ট করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শনিবার তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে। সেইমতো তড়িঘড়ি মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় রাজ এবং এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশকুমার প্রধান বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে সচেতন করা হয়েছে। ওই সব গ্রামে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তর তাজপুর গ্রামের আক্রান্ত যুবক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকলেও বাকি তিনজন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাই পরিবারের লোকজনের করোনা টেস্ট করানো হবে।
এদিকে শনিবার একসঙ্গে ১০জন আক্রান্ত বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। পাঁশকুড়ার দু’জন, তমলুকের দু’জন, নন্দকুমারের একজন, সুতাহাটার একজন, ময়না ব্লকের একজন, পটাশপুরের দু’জন এবং এগরার একজন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে ওই হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফজল শা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতাল থেকে ধারাবাহিকভাবে করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সাফল্য এসেছে। সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এদিন মেচগ্রামে করোনা হাসপাতাল থেকে ১০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।