বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শনিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে বাস মালিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রণব বিশ্বাস বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই বেসরকারি বাস চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, বেসরকারি বাস মালিকদের কাছে সোমবার থেকে জেলার সব রুটে বাস চালু করার আবেদন রাখা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাস মালিকরা বাস চালাতে রাজি হয়েছেন। পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকরাও বৈঠকে ছিলেন। তাঁদের সমস্ত বিষয়টি নজরদারি করার জন্য বলা হয়েছে। চালানোর আগে মালিকদের বাসগুলি স্যানিটাইজড করার কথাও বলা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সাহায্য করা হবে।
বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সারাদিনে সাড়ে তিনশো বাস চলাচল করে। লকডাউনে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের আবেদন মেনে নিয়ে আমরা বাস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার থেকে শতাধিক বাস জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। মাস্ক ছাড়া গাড়িতে কোনও যাত্রী তোলা হবে না। সব বাস মালিককে বাস স্যানিটাইজড করার জন্য বলেছি। তবে, আমাদের সকলের স্যানিটাইজড করার পরিকাঠামো নেই। প্রশাসনের কাছে আমরা সাহায্য চেয়েছি। প্রশাসনের সবরকম সাহায্য পেলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলার সব রুটের সমস্ত বাস চালু করব।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলায় গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং কলকাতা রুটে পাঁচটি সরকারি বাস চলাচল করছে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডেপুটি ট্রাফিক অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার পার্থসারথি সরকার বলেন, আমাদের ডিপোয় ২৮টি বাস রয়েছে। এখন ৫টি বাস চলছে। ১৫টি বাস পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। বাকি ৮টি বাস সোমবার থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল শুরু করবে। জানা গিয়েছে, সরকারি বাসের পাশাপাশি এই জেলায় ওই দিন থেকে শতাধিক বেসরকারি বাসও চলাচল করবে।
ঝাড়গ্রাম জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার পাল বলেন, এই জেলায় ১১০টি বেসরকারি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করত। সোমবার থেকে সব রুটেই বাস চালু হয়ে যাবে।