রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলার রাওতড়ার বাসিন্দা মথুরানাথবাবু ডিএসপিতে কাজের সূত্রে ১৯৬১ সালে দুর্গাপুরে চলে এসেছিলেন। ইস্পাত কারখানায় কাজের পাশাপাশি চলে তাঁর সঙ্গীত সাধনা। বহু ছাত্রছাত্রী রয়েছে তাঁর। তাঁর ছোট ছেলে রুদ্রজিৎ ভট্টাচার্যও সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। বাবা, ছেলে মিলে ইউরোপের নানা দেশে অনুষ্ঠানও করেছেন। কিন্তু, ১২ বছর আগে মৃত্যু হয় ছেলের। তাই বর্তমানে করোনা যখন বহু বাবা-মায়ের কাছ থেকে ছেলে-মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে, তখন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। ঠিক করেন, তাঁর জমানো অর্থ করোনা মোকাবিলার কাজে দান করবেন। তারপরই তিনি তাঁর পরিচিত ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিন তাঁর বাড়ি এসে চেক দিয়ে যান মথুরানাথবাবু।
মথুরানাথবাবু বলেন, সন্তানের মৃত্যুশোক কী তা আমি ভালো মতো জানি। তাই আমি এই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দিলাম। উনি এই টাকা করোনা চিকিৎসার কাজে লাগান। এই অর্থের সাহায্যে একজন সন্তানও যদি রক্ষা পায় আমি শান্তি পাব।
অন্যদিকে, উম-পুনে বিপর্যস্ত বাংলার পাশে দাঁড়ালেন আসানসোলের প্রবাসী গবেষকও। আসানসোলের চিকিৎসক অমীয় রায়ের মেয়ে অনুজা রায় বর্তমানে আমেরিকায় গবেষণা করছেন। তিনি একটি স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষিকা। টিভিতে উম-পুনের ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি তাঁর বাবাকে ৫১ হাজার টাকার চেক পাঠান। তাঁর বাবা এদিন স্থানীয় বিধায়ক তথা এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চেক তুলে দেন।