বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। এবার করোনা সংক্রমণের জেরে হালখাতাও হয়নি। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, সরকারি নিয়ম ও বিধি নিষেধ মেনেই সোমবার থেকে আমাদের মন্দির খুলবে। তবে, কেবলমাত্র মায়ের দর্শন ও পুজো দেওয়া যাবে। মন্দির খুললেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এখন ভক্তদের বসিয়ে মায়ের ভোগ খাওয়ানো বন্ধ থাকবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে হয়ত ভোগ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সুবিধা চালু করা হবে। তাতে ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমাদের মন্দির পরিষ্কার করা হয়ে গিয়েছে। পুরসভা থেকে স্যানিটাইজও করেছে। মন্দির খোলার এক সপ্তাহ পর পুরসভা থেকে আবার স্যানিটাইজ করা হবে। ভিড় এড়ানোর জন্য এবার বিপত্তারিণী পুজোও বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, ওই পুজোতে ১০-১২ হাজার ভক্তের সমাগম হয়।
সোমবার থেকে দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি কালী মন্দিরেও ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন। যদিও কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মন্দিরের দরজার সামনেই রাখা হবে সাবান, জল। ভক্তরা হাত ধুয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে পুজো দিতে পারবেন। মন্দিরের প্রধান সেবাইত সাধন রায় বলেন, দশহারা ও গঙ্গাপুজোর দিনেই ধর্মীয় স্থান খোলার নির্ঘণ্ট ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অত্যন্ত শুভদিন নির্বাচন করেছেন। আমরা ওইদিন ভক্তদের জন্য মন্দির খুলে দিচ্ছি। তবে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
অন্যদিকে, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় মাইথনের মা কল্যাণেশ্বরীর ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিশেষ তিথি ছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। রাজ্য সরকার ১ জুন থেকে ধর্মীয় স্থান খোলার বিষয়ে বিধি নিষেধ তুলে দিতেই অনেকে পুজো দেওয়ার মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু এখনই খুলছে না মায়ের মন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষ কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না। মন্দিরের বংশানুক্রমিক প্রধান সেবাইত দিলীপ দেওঘরিয়া বলেন, এখনই আমরা কোনও বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাইছি না। ভক্তরা মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে পুজো দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে।