কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীরামবাবুর শ্বশুরবাড়ি বড়জোড়ার দাঁ পাড়ায়। গত চার-পাঁচদিন ধরে তিনি স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে সেখানেই থাকছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে তিনি হরিরামপুর গ্রামে ফিরছিলেন। পথেই তিনি ছেলেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। পরে তিনি নিজেও কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে। রাস্তায় তাঁদের অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর দেওয়া হয় কালীরামবাবুর বাড়ির লোকজন ও শ্বশুরবাড়িতেও। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন হরিরামপুরে এলে তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর ওই রাতেই মৃতের স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিস। শনিবার সকালে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে ছেলেকে মেরে কালীরামবাবু আত্মঘাতী হলেন, তা জানতে পুলিস তদন্ত শুরু করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় কোনও কাজকর্ম না থাকায় কালীরামবাবু অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। হাতে টাকা পয়সা না থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও মনোমালিন্য শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, শ্বশুরবাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তাই ছেলেকে নিয়ে কালীরামবাবু চলে আসেন। তবে এছাড়াও অন্যান্য কোনও কারণ আছে কি না, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।