দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মহারাস্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি ও তামিলনাড়ু থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখতে হবে, রাজ্য সরকারের তরফে সেব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এরজন্য প্রত্যেক পঞ্চায়েতে দু’টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। একইভাবে শহরেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে স্কুলগুলিকে নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবারই সিউড়ির ডিআরডিসি হলে এব্যাপারে বৈঠক করা হয়েছে। তারপর শুক্রবার সিউড়ি শহরের বড়বাগানে ১-এর পল্লি মোড়ে একটি ছাত্রাবাসে কাজ হতে দেখে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তার জেরে এদিন বাসিন্দারা ওই এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে সিউড়ি থেকে রাজনগর যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। পরে সিউড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা তুলসী সাধু, রুমকি হালদার বলেন, লোকালয়ের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়লে প্রত্যেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। যে প্রতিষ্ঠানে তা করা হবে সেখানের আশপাশে ঘর-বাড়ি রয়েছে। তাই নিরিবিলি এলাকায় এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে হবে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি খতিয়ে দেখে অন্যত্র কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা যায় কি না তা দেখা হবে।
অন্যদিকে, রামপুরহাট-১ ব্লকের চাকপাড়া গ্রামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা নিয়ে শুক্রবার ফের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবারও তাঁরা এক দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার আইসি ঘটনাস্থলে গেলেও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পরে ঘটনাস্থলে রামপুরহাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভাশিস সরকার সেখানে গিয়ে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ স্তিমিত হয়।
সভাপতি বলেন, যাঁরা খরুন পঞ্চায়েত এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক আসবেন তাঁদেরই ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। রাতের দিকে যদি অন্য এলাকার কোনও শ্রমিক আসেন, তাঁদের সাময়িক রেখে নিজের এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।