পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং সাউথ ইন্ডিয়া থেকে যে ট্রেনগুলি আসছে তাতে বর্ধমান স্টেশনে পূর্ব বর্ধমানের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদীয়া, মুর্শিদাবাদের শ্রমিকেরাও নেমে পড়ছেন। তবে, এই ছ’টি জেলার শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না। কিন্তু, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার শ্রমিকরাও বর্ধমানে নেমে পড়ছেন। তাতেই সমস্যা বাড়ছে। কারণ, বাসে করে তাঁদের সবাইকে পৌঁছে দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একসঙ্গে এতজন শ্রমিক বর্ধমানে নেমে পড়ায় তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা সহ নানা কাজে সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও বর্ধমান স্টেশনে প্রায় ২০০০ পরিযায়ী শ্রমিক নেমেছেন। তাঁরা অবশ্য সবাই পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য থেকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে যাঁরাই ফিরছেন, তাঁদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠাতে হবে। তাঁদের কড়ি আঙুলে কালিও লাগিয়ে দেওয়া হবে। যাতে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়। তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন না। তাই এই অবস্থায় যদি বর্ধমান স্টেশনে ভিড় বাড়ে এবং বাড়ি পাঠানোর পর্যাপ্ত পরিবহণ না থাকে, তাহলে সমস্যা হবে। বৃহস্পতিবারও বাস না পেয়ে কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক নবাবহাটে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। তাই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে ভিন জেলার বাসিন্দাদের দ্রুত পৌঁছে দিতে চাইছে প্রশাসন।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, আমাদের প্রতিবেশি জেলা যেগুলি রয়েছে, যেমন পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের পাঠাতে আমাদের সমস্যা নেই। আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু, মালদহ, দুই ২৪ পরগনা সহ দূরের বাসিন্দাদের পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। জেলাশাসক বলেন, অধিকাংশ ট্রেন হাওড়া পর্যন্ত যাচ্ছে না। কেন যাচ্ছে না জানি না। ওখানে কোনও বিপর্যয়ও হয়নি। হাওড়া পর্যন্ত গেলে দুই ২৪ পরগনার যাত্রীদের সুবিধা হতো। তাই আমরা বর্ধমান থেকে দু’টি ট্রেন চেয়েছি। হাওড়াগামী ট্রেনটি হাওড়ায় না ঢুকলে যেন ডানকুনি পর্যন্ত যায়। রামপুরহাটগামী যে ট্রেনটি চেয়েছি, প্রয়োজনে রামপুরহাট থেকে মালদহ পর্যন্ত যাবে। ওই দু’টি লোকাল ট্রেন পেলে আমরা ভিন জেলার সবাইকে পরীক্ষা করিয়ে, খাওয়া-দাওয়া করিয়ে পাঠাতে পারব। বর্ধমান থেকে পাঠাবার আগে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের কাছে তথ্যও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাতে তাঁরাও আগাম জানতে পারেন।