বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুম্বইয়ে কমলবাবুর নিজের সোনার দোকান রয়েছে। তাঁর ভাই উত্তম সেনাপতি বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য দাদা নানাভাবে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, এতদিন ফিরতে পারেননি। সম্প্রতি কয়েকজন একটি বাস ভাড়া করে বাড়ি আসার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো ২৬মে ৩২ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি দাসপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু, দাদা বাড়ি ফিরতে পারলেন না।
কমলবাবুর জামাইবাবু অশোক মাইতি বলেন, মঙ্গলবার অনেক রাত পর্যন্ত কমল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এভাবে যে তাঁর মৃত্যু হবে, কেউ ভাবিনি।
ওই বাসের যাত্রী খানাকুলের বাসিন্দা সুজন সানকি বলেন, বুধবার সকালের দিকে আমরা সবাই বাস থেকে নেমে মুখ-হাত ধুয়ে একটি জায়গায় বিশ্রাম নিয়ে আবার বাসে উঠি। কিন্তু বাসে উঠে দেখি, কমলবাবু নেই। বাস থেকে নেমে খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, উনি অসুস্থ অবস্থায় এক জায়গায় বসে রয়েছেন। ওই অবস্থাতেই তাঁকে বাসে তুলে বাস ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বাসের যাত্রীরা জানান, রাস্তায় দু’দিকে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে তাঁকে ভর্তি করার চেষ্টা করা হলেও কেউই ভর্তি নেয়নি। দুপুরের দিকে বাসেই কমলবাবু মারা যান।
এদিন সকালে পুলিস রাজনগর থেকে যাত্রীসহ বাসটিকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাকি সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।