পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন মুরারই-১ ব্লকের দু’জন, ২ ব্লকের ন’জন। নলহাটি-১ ব্লকের সাত, ২ ব্লকের একজন। রামপুরহাট শহরের একজন ও রামপুরহাট-২ ব্লকের একজন। ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের একজন ও একজন ২ ব্লকের বাসিন্দা। এদের মধ্যে অধিকাংশ বিভিন্নভাবে মুম্বই, দিল্লি ও রাজস্থান থেকে ফিরেছেন। সকলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। ১৮, ১৯ ও ২০মে সকলের লালারস সংগ্রহ করে বাড়ি পাঠিয়ে কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু, অধিকাংশই সেই নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ।
১৯মে মুম্বই থেকে পরিবারের সঙ্গে রামপুরহাট শহরে আত্মীয়র বাড়িতে আসে নাবালক ছাত্র। সে মহারাষ্ট্র বোর্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। ওইদিন তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। লালারস সংগ্রহের পর ২০মে আত্মীয়র বাড়ি পাঠিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। মঙ্গলবার রাতে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই আক্রান্তের আত্মীয় রামপুরহাট পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলার বলেন, নাবালক ছেলে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়ে একটু ঘোরাঘুরি করেছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ছাড়া উচিত হয়নি।
অন্যদিকে, ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের আক্রান্ত যুবক মুম্বই ফেরত। এনিয়ে এই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টে মুরারই-২ ব্লকের ন’জন ও ১ ব্লকের দু’জনের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছেন, আক্রান্ত ১১জনই মুম্বই ফেরত। লালারস সংগ্রহের পর তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে নলহাটি-১ ব্লকে আরও সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে এই ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। একজন হায়দরাবাদ ও বাকিরা মহারাষ্ট্র ফেরত শ্রমিক। বাকি ব্লকের আক্রান্তদের কেউ মুম্বই, কেউ আবার দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, আক্রান্ত সকলেই উপসর্গহীন থাকায় তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে লালারস সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই আক্রান্তের এলাকাগুলিকে বাফার এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা যাতে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকেন নজরদারি কমিটি তা দেখভাল করবে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(১) ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই ২৩জনকেই বোলপুরের করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। বাকি কারা সংস্পর্শে এসেছেন তার তালিকা তৈরি চলছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, এই স্বাস্থ্যজেলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফটা বেশ দুশ্চিন্তার। যেভাবে ভিনরাজ্য থেকে মানুষজন ফিরছেন তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। এদিকে একদিনে এত সংখ্যক আক্রান্তের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী বীরভূম স্বাস্থ্যজেলাতেও একজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ইলামবাজারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্র থেকে ফেরেন। তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল ইলামবাজার হাসপাতালে। গত ১৮মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার এক কর্তা বলেন, ওই ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাঁকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।