পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে যাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন টিকিট বুকিং করতে পারবেন না। বাস ছাড়ার আগে ডিপোতে এসেই কাটতে হবে টিকিট। কোন রুটের বাস কোন দিন এবং কখন ছাড়বে, সেবিষয়ে কোনও আপডেট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীদের সরাসরি ডিপোর ফোন নম্বর ফোন করে খোঁজ নিতে হবে। আরামবাগের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর ফোন নম্বর হল-৭৮৯৯৯৯৩৯২৬।
এবিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আরামবাগ ডিপোর এক কন্ডাক্টর নিশীথ রায় বলেন, প্রতিদিন কত সংখ্যক বাস চলাচল করবে, তা যাত্রীদের উপস্থিতির হারের উপর নির্ভর করবে। পরিষেবা যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেম বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আরামবাগ ডিপো থেকে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান, সিউড়ি, তারাপীঠ সহ বিভিন্ন রুটে এসবিএসটিসির বাস চলাচল করে। লকডাউনের কারণে সেই পরিষেবা বন্ধ ছিল। এদিনই প্রথম ফের আরামবাগ থেকে ভিন জেলায় বাস চলাচল শুরু হল। সকালের দিকে কলকাতা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর রুটে একটি করে বাস চালানো হয়। আপাতত তিনটি রুটে বাস চলাচল করলেও বাকি রুটগুলিতে এই মুহূর্তে বাস চালানোর কোনওরকম ইঙ্গিত দিতে পারেনি পরিবহণ দপ্তর।
এদিন সকাল ৭টা ১০মিনিটে আরামবাগ-কলকাতা বাস শুধুমাত্র চারজন যাত্রী নিয়ে আরামবাগ ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ কেবলমাত্র একজন যাত্রী নিয়ে বাঁকুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় আরএকটি বাস।
আরামবাগের বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা বাপি ঘোষ বলেন, শুনেছি, এদিন থেকে কলকাতা যাওয়ার সরকারি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু, ওই বাস ২০ জনের বেশি যাত্রী নেবে না। যে কারণে বলরামপুর থেকে আমাকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস ধরতে হবে। কারণ ২০ জন যাত্রী যদি আরামবাগ থেকেই বাসে চাপেন, তাহলে মাঝপথে আমাদের বাসে ওঠার সুযোগ থাকবে না। তাছাড়া বাস চলাচলের সময়সূচি অনলাইনে দেখতে পাওয়া যাবে না। সেটা সমস্যার কারণ। আগে অনলাইনে বাসের টিকিট মিলত এখন তাও বন্ধ হয়ে রয়েছে।
সমীর হালদার নামে বাস ডিপোর একজন স্টাটার বলেন, লকডাউনের মধ্যেও বহু যাত্রী ফোন করে বাস চলাচলের খবর নিয়েছেন। এদিনও অনেকে সরাসরি ডিপোতে এসে কোন রুটের বাস কখন চলবে, তা জানতে চেয়েছেন। তবে সকলে খোঁজ নিলে কী হবে, এদিন যাত্রীসংখ্যা ছিল নামমাত্রই। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়বে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী বহনকারী প্রতিটি বাস নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে। এছাড়া বাসের মধ্যে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হবে। তবে কোনওভাবেই কন্টেইনমেন্ট জোনে ঢুকবে না বাস।