বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দীপ্তেন্দু দত্ত বলেন, রক্তের আপডেট দেওয়া থাকলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, দালালরা তা জানতে পেরে রক্ত বিক্রি করার চেষ্টা করছে। সেজন্য সাময়িকভাবে তা বন্ধ রয়েছে। রোগীদের অসুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, যাঁদের প্রয়োজন তাঁরা সরাসরি ব্লাড ব্যাঙ্কে এলে রক্ত পেয়ে যাবেন, অসুবিধা হবে না।
রক্তের সঙ্কট মেটাতে রক্তদান করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কোথায় কত পরিমাণ কোন কোন গ্রুপের রক্ত রয়েছে তা সহজেই বুঝতে পারার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জীবন শক্তি নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়। সেখানে রাজ্যের প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক প্রতিদিন সকালে তাদের মজুত রক্তের পরিমাণ অ্যাপটিতে আপডেট করে দেয়। সরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই পরিষেবা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বীরভূম জেলার সিউড়ি ও রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক তাদের রক্ত মজুতের তালিকা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আপডেট করেছে। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে গত ২০মে থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তা বন্ধ। তার ফলে সমস্যায় পড়েছে রোগীর পরিবার। একইভাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা গ্রুপগুলিও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে বুঝতে না পেরে মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে কত পরিমাণ রক্ত মজুত রয়েছে তা জানতে গেলে সেখানে কিছু বলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রক্তের অত্যন্ত প্রয়োজন থাকা এক রোগীর আত্মীয় এই বিষয়টি জানতে গেলে তাঁকে অ্যাপ দেখতে বলা হয়। কিন্তু, অ্যাপে দেখা যাচ্ছে না বললেও এই বিষয়ে কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
বীরভূম ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নুরুল হক বলেন, কোনও অজ্ঞাত কারণে রক্তের বিষয়টিতে গোপনীয়তা রাখা হচ্ছে। এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, এদিন আমাদের ‘ও’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। অ্যাপ থেকে কিছু জানতে না পেরে হাসপাতালে রক্ত নিতে যাই। কিন্তু, সেখানে আমাদের রক্ত দেওয়া হয় না। অনেক কষ্ট করে একজন দাতা জোগাড় করার পর রক্ত মেলে।