কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারার নেতৃত্বে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন পুলিস সুপার শ্যাম সিং, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে ওই বৈঠক হয়। মেন্টর বলেন, উম-পুনে জেলায় যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া গত দু’দিনে কালবৈশাখীর প্রভাবে জেলার কিছু ব্লকে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যে পূর্বাভাস রয়েছে তা নিয়েও এদিন বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উম-পুনের পর বীরভূম জেলার কিছু ব্লকে ঝড় হয়। তার তাণ্ডবে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুবরাজপুর, রাজনগর, খয়রাশোল, কোটাসুর প্রভৃতি এলাকায় আংশিকভাবে কিছু কাঁচাবাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। এছাড়া প্রচুর গাছ পড়ে গিয়েছে। এমনকী, ঝড়ের দাপটে প্রায় ৬০-৬৫টি বিদ্যুতের খুঁটিও পড়ে গিয়েছে। তার জেরে বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে, দপ্তরের নির্দেশে তড়িঘড়ি সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ ফেরাতে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। মঙ্গলবারও সেই কাজ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফের ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তাছাড়া জুন মাস থেকেই বর্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলায় জরুরি পরিষেবাগুলির কী ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই জেলাশাসকের নেতৃত্বে বৈঠক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ভবনে হওয়া ওই বৈঠকে বিদ্যুৎ, পিএইচই, পূর্ত, সেচ প্রভৃতি দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনের ঝড়ে বহু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। আগামী দিন ঝড় হলে জেলায় খুঁটি মজুত রয়েছে কি না তা এদিন খোঁজ নেওয়া হয়। এছাড়া ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে তা সরানোর জন্য পর্যাপ্ত মেশিনের ব্যবস্থা রয়েছে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। জেলায় বর্তমানে প্রায় ২০০জন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য রয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তাঁদের প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এমনকী, জেলায় থাকা নদীবাঁধগুলির হাল-হকিকত স্পটে গিয়ে পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, এদিন সার্বিক বিষয়গুলি নিয়েই বৈঠক করা হয়েছে। ঝড়ে কিছু কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাঁদের ত্রিপল দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেন কোনও কার্পণ্য না করা হয় সেব্যাপারেও নজর রাখা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সিভিল ডিফেন্সের সদস্য বাড়াতে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও বলা হয়েছে। জেলায় আপাতত বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্ষার আগে বালিঘাট সংলগ্ন বাঁধগুলির পরিস্থিতিও দেখতে বলা হয়েছে।