বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি-১ ও ২, রামপুরহাট-২ ও ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের আক্রান্ত ছয় বাসিন্দা সংক্রামিত রাজ্য মুম্বই, রাজস্থান ও হাওড়া এবং মেটিয়াবুরুজ থেকে ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক। একজন ভবঘুরে। যিনি উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাটের কোভিড সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকিদের সোয়াব সংগ্রহ করে নন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে আলাদা করে থাকতে বলা হয়। যদিও অধিকাংশই স্বাস্থ্যদপ্তরের পরামর্শ মেনে চলেননি বলে অভিযোগ। ফলে, তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিস ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এক ব্লক আধিকারিক বলেন, আক্রান্তদের অনেকেই তথ্য গোপন করছেন। যা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই আক্রান্তদের বোলপুরের করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপরই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি-১ ব্লকের দুই আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ১২জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তার মধ্যে এক আক্রান্তের ভাই পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা এবং আক্রান্তের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ৬৪জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। নলহাটি-১ ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই বলেন, দুই আক্রান্তের বাড়ির চত্বরগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে নলহাটি-২ ব্লকের আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে পাঁচজন ও আরও সাতজনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদিকে ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের দুই আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ১৬জনকে কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। বিডিও গোরাচাঁদ বর্মন বলেন, ওই দুই এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তবে, এই ব্লকেই করোনা আক্রান্তের হার সব থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা আট। যার মধ্যে এক নার্স বাদে সাতজনই ভিনরাজ্য ও জেলা ফেরত। অন্যদিকে, রামপুরহাট-২ ব্লকের আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা পরিবার ও বন্ধু মিলিয়ে ১৭জনকে নন হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আরও কারা সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁর খোঁজ চলছে।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, সংস্পর্শে আসাদের চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, পরিবারের যাঁরা সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন। দ্বিতীয়ত, যে সঙ্গীদের সঙ্গে বাস বা লরিতে এসেছেন তাঁদের। তৃতীয়ত, যেসব চিকিৎসক, পুলিস ও স্বাস্থ্যকর্মী সংস্পর্শে এসেছেন এবং চতুর্থত, আক্রান্তদের সঙ্গে থাকা নন হোম কোয়ারেন্টাইনের আবাসিকরা। ইতিমধ্যে ১০০-র বেশি জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। সকলের লালারস পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে, পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। যাঁরা সদ্য আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের পাঁচ-সাতদিনের মাথায় সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। আর যাঁরা ৭-১০দিন আগে থেকেই আক্রান্তের সংস্পর্শে ছিলেন তাঁদের দ্রুত সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।