পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রবল ঝড়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কয়েক হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে অথবা উপড়ে পড়েছে। শহরের সামান্য কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছলেও শিল্পাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র দুর্গাচক টাউন, সিটিসেন্টার, টাউনশিপ এলাকার বহু অংশই এখনও বিদ্যুৎবিহীন। ব্যাঙ্কগুলিতে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মার্কেট এলাকা বা শপিংমল সংলগ্ন এটিএমগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ থাকলেও ব্যাঙ্ক বা এটিএমগুলির লিঙ্ক নেই। বিএসএনএল সহ বিভিন্ন বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার টাওয়ার ভেঙে পড়ায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বিপত্তি।
হলদিয়ার রানিচক এলাকায় টাউনশিপ যাওয়ার রাস্তার পাশে বিএসএনএলের প্রায় দেড়শো ফুট উঁচু মোবাইল কাম ওয়ারলেস টাওয়ার ভেঙে পড়ায় মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত। টাউনশিপে হলদিয়া বন্দর আবাসনের সেক্টর ফাইভে উল্টে পড়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার মোবাইল টাওয়ার। হলদিয়া শহরজুড়ে এরকম কয়েক ডজন মোবাইল টাওয়ার ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে টাওয়ারগুলিতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, সেখানে আবার বিদ্যুৎ নেই। হলদিয়ার টাউনশিপ মাখনবাবুর বাজার থেকে দুর্গাচক, সিটিসেন্টার থেকে ব্রজলালচক, সুতাহাটা, চৈতন্যপুর সহ সর্বত্র এটিএমের ঝাঁপ বন্ধ।
ব্রজলালচকের এক বাসিন্দা বলেন, ঝড়ে বাড়ির চিলেকোঠার ছাদ উড়ে গিয়েছে। মেরামতির জন্য টিন কিনতে হবে। কিন্তু, হাতে নগদ টাকা না থাকায় সমস্যায় পড়েছি। দোকানদার চেনাশোনা হলেও লকডাউনের বাজারে কেউ ধারবাকি রাখতে চাইছেন না।
এদিকে দোকানদারদের বক্তব্য, লকডাউনের জন্য তাঁদের নগদে মালপত্র কিনে আনতে হচ্ছে, সেজন্য ধার দিতে পারছেন না। হাতে নগদ না থাকায় বাড়ি সারানোর মিস্ত্রির কিংবা গাছ কাটার লোকের মজুরি, বিদ্যুতের নতুন কেবল তার কেনার টাকা জোগাড় করতে কার্যত হিমশিম অবস্থা গৃহস্থের।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস, সব্জি ব্যবসায়ী সুব্রত মাইতি বলেন, ঝড়ের পর থেকে ব্যাঙ্কে বা এটিএমে লিঙ্ক না থাকায় টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। ফলে মালপত্রের অর্ডার দিতে পারছি না।
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, লিঙ্ক না থাকায় সুতাহাটা বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং এটিএমগুলি বন্ধ। হলদিয়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আধিকারিক আবু রাইহান বলেন, মাখনবাবুর বাজারে ছ’টি এটিএমের সবগুলিই বন্ধ। ইদের দিন ছেলেমেয়েদের জন্য খরচ করার মতো হাতে নগদ টাকা না থাকায় রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়েছে।