কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এইচডিএ গেঁওখালির হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড জলপ্রকল্প পরিচালনা করে। এই প্রকল্পে হুগলি নদী থেকে জল তুলে পরিশোধনের পর পাম্পে করে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিল্পশহরে আনা হয়। হলদিয়া শিল্পশহরের প্রতিদিন গড়ে ৩০মিলিয়ন গ্যালন জলের চাহিদা মেটায় এই প্রকল্প। ঝড়ে জলপ্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যত নির্জলা অবস্থায় কাটাতে হয় শিল্পশহরকে। হলদিয়া, মহিষাদলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হাইটেনশন লাইনের খুঁটি উপড়ে পড়ায় এই বিপত্তি দেখা দেয়। চৈতন্যপুর, দুর্গাচকের বাসুদেবপুর, হাতিবেড়িয়া পাম্পিং স্টেশনগুলি কার্যত অকেজো হয়ে যায়। শনিবার দিনভর নিজে উপস্থিত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতি ও বিদ্যুৎ লাইন পুনর্গঠন কাজের তদারকি করেন এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হরিশঙ্কর পানিক্কর।
তিনি বলেন, জলপ্রকল্প দ্রুত স্বাভাবিক করার বিষয়টি আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আইওসির মতো সংস্থায় জলের অভাবে উৎপাদনে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত এইচডিএ আইওসিকে সমস্ত রিজার্ভার থেকে জল দিয়ে উৎপাদন চালু রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ, হাসপাতাল থেকে আবাসনের বাসিন্দা, সকলেই তীব্র জলকষ্টে পড়েছিলেন। সারারাত বিদ্যুৎ দপ্তর ও এইচডিএর কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করে শেষমেশ প্ল্যান্ট চালু করেছেন।
আইওসির জেনারেল ম্যানেজার সমরেন্দ্রনাথ ঝা বলেন, এদিন ভোর নাগাদ গেঁওখালি থেকে জল আসার পর আমরা সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। জলের অভাবে উৎপাদন ক্রমশ কমিয়ে আনা হচ্ছিল। ঝড়ের সময় বৃষ্টির ধরে রাখা জল দিয়ে কোনওরকমে কাজ চালানো হচ্ছিল। এখন ফের উৎপাদন স্বাভাবিক হচ্ছে।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাস বলেন, গেঁওখালি জলপ্রকল্প চালু হওয়ার ফলে ওয়ার্ডগুলিতে ধীরে ধীরে জলের সমস্যা মিটবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুরসভার সাপ্লাই ওয়াটার দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে নলবাহিত পানীয় জল সব জায়গায় দেওয়া যাবে না। কারণ, রিজার্ভার থেকে পাম্প করে ওয়ার্ডে জল পাঠাতে বিদ্যুৎ লাগবে। এখনও হলদিয়ার সিংহভাগ ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নেই। তাছাড়া জলপ্রকল্প চালু হলেও নদী থেকে জল তুলে তাকে থিতিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে সময় লাগবে। ফলে ওয়ার্ডগুলিতে সাপ্লাই ওয়াটার পৌঁছতে দু’-তিন দিন সময় লাগবে।
হলদিয়ার চিরঞ্জীবপুরে এদিন সকালে সাপ্লাই ওয়াটার আসার খবর জানাজানি হতেই ট্যাপের সামনে বিশাল লাইন পড়ে যায়। সিংহভাগ ওয়ার্ডেই অবশ্য এখনও জল আসেনি। পুরসভার যে ওয়ার্ডগুলিতে নলবাহিত সাপ্লাই ওয়াটারের ব্যবস্থা নেই, সেখানে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর দাবি জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।