গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী কৃষ্ণনগর মহকুমায় ১১হাজারের কাছাকাছি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ২৬০০টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। তেহট্ট মহকুমাজুড়ে উম-পুন ঝড়ে প্রায় এক হাজারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২০০টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ঝড়ের পর থেকেই খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। প্রশাসনের তরফ থেকে অনেকের কাছে ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবুও ঘর হারিয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন অনেকেই। তেহট্টের উজিরপুর গ্রামের কার্তিক সরকার বলেন, ঝড়ে আমার বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। বিডিও অফিস থেকে আমাকে একটা ত্রিপল দিয়ে গেলেও ঘরের কী করব সেই নিয়ে চিন্তায় আছি। আপাতত ত্রিপল খাটিয়ে তাঁবু তৈরি করে আছি। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের ঘর তৈরির ব্যবস্থা করা হোক। চকবিহারী গ্রামের সালেহার শেখের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। তিনিও পরিবারকে নিয়ে বিডিও অফিস থেকে দেওয়া ত্রিপলের নীচে বাস করছেন। তিনি বলেন, ত্রিপল দিলেও ঘর করার মতো টাকা নেই। কী করে পরে ঘরটা বানাব সেই চিন্তায় আছি। আমরা চাই, আমাদের ঘর করার জন্য প্রশাসন কিছু টাকা দিয়ে উপকার করুক। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের সমর দে, রাজু শেখ বলেন, ঝড়ে ছাদ ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু সারানোর মিস্ত্রি পাচ্ছি না। এমন সমস্যায় আগে কোনওদিন পড়তে হয়নি।
অন্যদিকে, বুধবারের পর থেকে দুই মহকুমার বহু ব্লকের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি। রবিবার সকাল পর্যন্ত একটা বড় অংশের অবস্থা স্বাভাবিক হলেও কিছু জায়গা এখনও বাকি। তেহট্টের ঝিনুকঘাটার বাসিন্দা সুবীর হাজরা বলেন, আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তিনদিন ধরে আমরা অন্ধকারে আছি। তীব্র গরমে খুব অসুবিধা হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না। এই অবস্থায় আমরা খুব কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছি। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাটিয়ারি-বার্নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীনবন্ধু মহলদার বলেন, চারদিন হয়ে গেল আমাদের এখানে বিদ্যুৎ আসেনি। খুব সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।