কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ৬মে ব্যাঙ্কে যাওয়ার পথে হলদিয়া-মেচেদা সড়কে বাইক থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই মহিলা ব্যাঙ্ককর্মী। এরপর মেচেদার একটি নার্সিংহোম এবং তমলুক জেলা হাসপাতাল হয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে অপারেশন শুরুর আগে করোনা টেস্ট করতেই তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মৃত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়ি শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবেড়িয়া গ্রামে। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মেচেদার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই হেড ক্যাশিয়ার। ২১মে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের বড় ছেলে বলেন, মায়ের দেহ আনার জন্য আমরা খুব চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, সেই অনুমতি মেলেনি। কলকাতাতেই মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ বুকে যন্ত্রণা নিয়ে কয়েকদিন আগে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও পটাশপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে আরও তিজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তমলুক ব্লকের সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন চকশ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়েছে। তমলুক শহর লাগোয়া চকশ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম। সেখানে করোনা আক্রান্তের খবরে শহরজুড়ে আতঙ্ক বেড়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ওই রিপোর্ট আসতেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল তমলুকের বিএমওএইচকে নিয়ে গ্রামে যান। সন্ধ্যায় তাঁকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই পরিবারের তিনজন সদস্য এবং প্রতিবেশী এক দম্পতিকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে ছিলেন আক্রান্ত ২৮বছর বয়সি ওই যুবক। গত ১৪মে ওই যুবক তমলুকে ফিরে আসেন। তাঁর মা, স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তানকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে ফেরা আরও এক যুবক এবং তাঁর স্ত্রীকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পটাশপুর-২ ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়েছে। তিনদিন আগে তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরেন। উপসর্গ থাকায় দ্রুত টেস্ট করা হয়। শনিবার তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে বড়মা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজনকে চণ্ডীপুর আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল।
খড়্গপুর শহরে আয়মা এলাকার এক রেলকর্মীর মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১৯বছর বয়সি ওই কিশোরী গত ২১মে থেকে খড়্গপুরে রেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খড়্গপুরের সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, আক্রান্ত কিশোরীর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এলাকাটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২এপ্রিল শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক গ্রামের আক্রান্ত পান ব্যবসায়ীকে শনিবার বড়মা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে আনা হয়। শনিবার তিনি বাড়ি যান।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, তমলুকের চকশ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪তারিখ ওই যুবক আসানসোল পয়েন্ট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। আসানসোলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মেচেদার সেই ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।