কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল থেকে গত ১৭মে এদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ হয়। আক্রান্ত ছ’জনের সকলের বয়স ২৩-৩৬বছরের মধ্যে। তবে আক্রান্তদের কোনও প্রাথমিক উপসর্গ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই মহারাষ্ট্রে ছিলেন এবং স্ক্রিনিংয়ের পর হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর আক্রান্তদের কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আক্রান্তদের এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের বা সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বেশ কয়েকজনের লালারসের নমুনাও পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে সুপার শ্যামলকুমার পোড়ে বলেন, ছ’জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে, রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরন সিং বলেন, আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে সংস্পর্শ আসা ৩২জনের সোয়াব টেস্ট করানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও রানাঘাট-২ ব্লকে দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নদীয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। এর আগেও মহারাষ্ট্রের মতো জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবু কেন এমন একটি রাজ্য থেকে আসার পরও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বাসিন্দারা। কোথাও সেভাবে লকডাউন মানা হচ্ছে না বলেও অনেকের অভিযোগ। বাজারে, দোকানে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। বাইরে বেরনো অনেকের মুখে মাস্কও থাকছে না। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ভিনরাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন। এখনও অনেকে বাইরে আটকে রয়েছেন। তাঁরা ফিরলে আগামী দিনে কী পরিস্থিতি হবে তা ভেবে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অনেকে।