কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পশ্চিম মেদিনীপুরের রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপকুমার বাছাড় বলেন, ঝড়ের দাপটে প্রায় ২০০০ বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। শতাধিক ট্রান্সফর্মার অকেজো হয়ে গিয়েছে। সারানোর জন্য ঝড়ের পরদিন থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সব জায়গায় কাজ চলছে। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়া এবং তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে সব জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া লকডাউনের জেরে বহু ঠিকাকর্মী নিজেদের জেলায় ফিরে গিয়েছেন। কর্মীর সমস্যাও রয়েছে। এর মধ্যে সর্বত্র মেরামতির কাজ চলছে। জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও তিনদিন লাগবে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই জেলার বিভিন্ন ব্লকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে আবহাওয়ার অবনতি হতে শুরু করলে জেলার কয়েকশো গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দাঁতন-১ ও ২, নারায়ণগড়, পিংলা, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা টাউন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। ঘাটাল শহরে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এসেছে। চন্দ্রকোণা টাউনে ৪০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এসেছে। জেলায় ৫২টি সাবস্টেশন রয়েছে। তারমধ্যে ঝড়ের দাপটে ৩৮টি সাবস্টেশন অকেজো হয়ে পড়ে। যার জেরে জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা কাজ শুরু করেন। কিন্তু, কর্মীর অভাবে বহু জায়গায় কাজ করতে দেরি হয়। শুক্রবারের মধ্যে জেলায় সব সাবস্টেশন চালু হয়ে গেলেও জেলার বহু গ্রাম এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।
পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ঝড়ের দাপটে আমার ব্লকে প্রায় ২০০টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছিল। বহু জায়গায় তার ছিঁড়ে যায়। দু’দিন গোটা এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। শুক্রবার অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে এসেছে। শনিবার একটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সেখানে কাজ চলছে। সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসবে। দাঁতন-২ ব্লকের তালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাত থেকে বিদুৎ নেই। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে বিদ্যুৎ আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর দাস বলেন, গত চারদিন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গরমে রাতে ঘুমতে পারছি না। এদিন নিজে বিদ্যুৎ দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, দপ্তরের কোনও কর্মী আসেননি। তাই গ্রামবাসীরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে চাঁদা তুলে ইলেকট্রিকের মিস্ত্রিদের ডেকে কাজ শুরু করেছি। এতকিছু করার পর বাড়িতে আলো আর পাখা জ্বললে শান্তি পাব।