কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাবা দিল্লিতে সোনার কাজ করেন। গত ১৬ মে স্ত্রী ও এক বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে বর্ধমানে ফেরেন। বর্ধমানের কৃষিভবনে তাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বর্ধমান শহরে সুভাষপল্লির পর দ্বিতীয় আক্রান্তের ঘটনায় আতঙ্কও ছড়িয়েছে।
এদিকে, দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর রাতুড়িয়া শিল্পতালুকের হেডকোয়ার্টার মোড়ে এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্রের দাদরা এলাকায় তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১৭ মে বাড়িতে ফেরেন। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই যুবকেকে করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই দুর্গাপুর শহরে দুই বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। বেসরকারি উদ্যোগে তাঁদের পরীক্ষা হয়েছিল। পরে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানায় তাঁরা করোনা সংক্রমিত হননি। রিপোর্ট ভুল ছিল। কিন্তু, এবার সরকারিভাবেই করোনা সংক্রমণের কথা জানানোয় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই অর্থে এই যুবক দুর্গাপুরে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। আক্রান্ত যুবকের দাদা বলেন, ট্রেনে প্রথমে হাওড়া, তারপর বাসে করে তাঁকে সিটিসেন্টারে নামানো হয়। আমরা বলেছিলাম পরীক্ষা করানোর বিষয়ে। তখন বলা হয় পরে পরীক্ষা করিয়ে নিতে। এরপর সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা হয়। ভাই বাড়িতে আলাদাই থাকত। দুই ভাই ছাড়াও আক্রান্তের বাড়িতে বৃদ্ধ ঠাকুমাও রয়েছেন।
অন্যদিকে, জামুড়িয়ার বাগডিহা সিদ্ধপুর এলাকায় এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনিও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে করোনা হাসাপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের ছ’জনের নমুনা সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জামুড়িয়ার বিডিও কৃশানু রায় বলেন, ব্লকে একজন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এলাকা সিল করা হচ্ছে। স্যানিটাইজও করা হয়েছে।
অপরদিকে, আসানসোলে রেলের ডিভিশনাল হাসপাতালে যে প্রসূতির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তিনি দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তা দেন। তিনি জানান, রেলের হাসপাতালে করোনা পজিটিভি শোনার পরই আমাকে সেখান থেকে বের করে দিতে উদ্যত হয়। খারাপ ব্যবহারও করা হয়। এই ভিডিওটি সোশ্যাল সাইটে ভাইরালও হয়। যদিও আসানসোল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। মহিলার সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন আমি তেমন কিছু বলিনি। আমরা এখনও ওঁর স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখছি।